আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণটি ১২ বছরের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ও অর্জনের বস্তুনিষ্ঠ দলিল। এই ভাষণে জণগণের প্রাত্যহিক জীবন থেকে উঠে আসা বাস্তবচিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে। এতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখাও প্রস্ফুটিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সময়োপযোগী ও দিক-নির্দেশনামূলক বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত এক যুগে আর্থ-সামাজিকসহ অন্যান্য খাতে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানুষের জীবনমানের ক্ষেত্রে যে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত চিত্র এই ভাষণে ফুটে উঠেছে।
সেতুমন্ত্রী জানান, ২০০৮ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৬২৫ ডলার, আর এখন মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার এখন ৪১.৫ থেকে ২০ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিএনপি আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন মাত্র তিন হাজার ৩০০ মেগাওয়াট ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারের উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনে সরকারের সব খাত আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কালিমা লেপে দেয়েছিল দেশের ললাটে। দেশের মানুষ আর বিএনপির অপশাসনের মৃত্যু উপত্যকায় ফিরে যেতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও মিথ্যাচার করছে, তারা এর আগেও অপপ্রচার করছে। করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাই সত্য, আমরা সেটা বাস্তবে প্রমাণ করে দেখাব।