করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যে প্রথমবার শনাক্ত হলেও ইতোমধ্যে আরও কয়েকটি দেশে পাওয়া গেছে এর সন্ধান। ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার পর নতুন ধরনটি ছড়াতে শুরু করেছে এশিয়াতেও।
বুধবার মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. নুর হিশাম আব্দুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা সাবাহ রাজ্যের করোনা রোগীদের থেকে নেয়া ৬০টি নমুনায় এ রূপান্তর খুঁজে পেয়েছি। এর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত ধরনের সাদৃশ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ভাইরাসের এ ধরনটি উচ্চমাত্রায় সংক্রামক বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক কিনা, আমরা এখনও সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস সবসময় পরিবর্তিত হয়, আর আমরা সবসময় জনগণের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব নিরীক্ষণ এবং গবেষণা করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া আগেও করোনাভাইরাসের রূপান্তর খুঁজে পেয়েছে, যাকে সাধারণের চেয়ে ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলা হয়েছিল।
গত আগস্টে ডি৬১৪জি নামে করোনাভাইরাসের ওই রূপান্তর ছড়িয়ে পড়ে দেশটির কেদাহ রাজ্যে। এরপর অঞ্চলটিতে অত্যন্ত দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে দেখা গিয়েছিল।
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ধরনও স্বাভাবিকের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে দাবি করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটি খুব বেশি প্রাণঘাতী বা ভ্যাকসিনের সঙ্গে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাবে- এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, যুক্তরাজ্য ছাড়াও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন পাওয়া গেছে ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।
এছাড়া এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র হংকংয়ে যুক্তরাজ্য ফেরত দুই শিক্ষার্থীর শরীরেও করোনার নতুন ধরণ শনাক্ত হয়েছে।