ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই লাগবে না। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বেসামরিক গেজেট ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সুপারিশের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেসব গেজেটও যাচাই-বাছাই না করতে বলা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ৩৯ হাজার ৯৬১ জন মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ওই যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় দেখা যায়- ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় নাম আছে, এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে। তাদের সনদ কেন আবার যাচাই-বাছাই হবে, তা জানতে চেয়েছেন অনেকেই।
এর প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার নতুন করে ওই সিদ্ধান্ত নেয়। তাতে বলা হয়েছে, যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩টি প্রমাণের মধ্যে রয়েছে, তারা যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় পড়বেন না। তাদের নাম জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় প্রকাশ হলেও তা যাচাই-বাছাই না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘বেসামরিক গেজেট’ ও ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল’ সুপারিশ করেছে- এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে সেসব গেজেটও যাচাই-বাছাই না করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি ইউএনওদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (www.jamuka.gov.bd) পাওয়া যাবে।