মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। যার কারণে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচের এই সিরিজটি ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে জিতেছিল। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর কোন ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এদিন ম্যাচের প্রথম মিনিটেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু সাদ উদ্দিনের দুর্বল শটে বল সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন নেপালের গোলরক্ষক। সপ্তম মিনিটে আবার আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু নেপালের শক্ত রক্ষণভাগ ভেদ করে কাঙ্ক্ষিত গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ।
২৭তম মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের দূরপাল্লার বিপজ্জনক শটটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৩৫তম মিনিটে সাদ উদ্দিনের ক্রস থেকে আলতো ছোঁয়ায় বল নেপালের জালে পাঠানোর সুযোগ পেয়েছিলেন সুমন রেজা। কিন্তু ঠিকভাবে শটটি নিতে পারেননি তিনি। ৩৬তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে গোলের সুযোগ ছিল নেপালের সামনে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডের কারণে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে টানা আক্রমণ চালালেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে নেপালের একটি হেড পোস্টে লেগে ফিরে গেলে বড় বাঁচা বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। এতে গোলশূণ্য ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।
ম্যাচ শেষে আতশবাজি ফুটিয়ে সিরিজ জয় উদযাপন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। প্রথম ম্যাচের সমান না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হাজার দশেক দর্শক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত থেকে জীবন-সাদ উদ্দিনের উৎসাহ দিয়ে গেছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। এর পর এক যুগেরও বেশি সময় পার হলেও আর কোন শিরোপার দেখা পায়নি তারা।
সর্বশেষ হোম ভেন্যুতে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এই নেপালিদের কাছেই শিরোপা খুইয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে বুরুন্ডির কাছে ৩-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল লাল সবুজের দল।
এটি ঠিক যে সাফ টুর্নামেন্ট কিংবা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনেক বেশী মর্যাদার। তবে ফিফা প্রীতি ম্যাচের এই সিরিজকেও খুব বেশি খাট করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ দুই ম্যাচের এই সিরিজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এ কারণে এই সিরিজের নামকরণ হয়েছে ‘মুজিব বর্ষ’ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সিরিজ। ফলে সিরিজ জয়ের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী হল জামাল ভুঁইয়ার দল।