ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে লুট ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট ও উদ্ধার হওয়ার পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ঢাকাসহ সারা দেশে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্রের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮শ ১৮টি। এর মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে তিন হাজার ৯৩৩টি অস্ত্র। রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি ও পিস্তলসহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি এক হাজার ৮শ ৮৫টি অস্ত্র। এছাড়া প্রায় তিন লাখ লুট হওয়া গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এখনো উদ্ধার করা যায়নি যেসব অস্ত্র
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে চায়না ফাইফেল উদ্ধার ৮৩৯টি, উদ্ধার হয়নি ২৯৬টি। বাংলাদেশি রাইফেল উদ্ধার নয়টি, উদ্ধার হয়নি একটি। এসএমজি উদ্ধার ১৯১টি, উদ্ধার হয়নি ৬০টি। এলএমজি উদ্ধার ২১টি, উদ্ধার হয়নি ১১টি। পিস্তল উদ্ধার ৭৩১টি, উদ্ধার হয়নি ৮২৫টি।
৯x১৯ মি.মি. এসএমজি/এসএমটি উদ্ধার ৩২টি, উদ্ধার হয়নি এক টি। শটগান উদ্ধার ১৬২৪টি, উদ্ধার হয়নি ৬৭টি। গ্যাস গান ৪৭৬টি উদ্ধার, উদ্ধার হয়নি ১১৭টি। টিয়ারগ্যাস লঞ্চার (সিক্স শট) উদ্ধার ৯টি, উদ্ধার হয়নি পাঁচটি এবং সিগন্যাল পিস্তল উদ্ধার একটি, উদ্ধার হয়নি দুটি।
যেসব গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার করা যায়নি
বিভিন্ন বোরের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে তিন লাখ ১২ হাজার ৮৫৭টি, উদ্ধার করা যায়নি দুই লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি। টিয়ার গ্যাসের শেল উদ্ধার ২৩ হাজার ১৯৪টি, উদ্ধার করা যায়নি আট হাজার ৮১১টি। টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার ৭০৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৫১টি। সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার দুই হাজার ১২৮টি, উদ্ধার সম্ভব হয়নি দুই হাজার ৫৬৪টি।
কালার স্মোক গ্রেনেড উদ্ধার ২১৩টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৮টি। মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড উদ্ধার ১৮টি, উদ্ধার করা যায়নি ৩৭টি। ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড উদ্ধার ৫৩৩টি, উদ্ধার করা যায়নি ৩৬০টি। গ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে (ক্যানিস্টার) উদ্ধার ৯৪টি, উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ৮৩টি।