মিয়ানমারের রাখাইনে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে, সে ব্যাপারে নাফ নদে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে দেখা গেছে, টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফ নদ সীমান্তে উন্নতমানের স্পিডবোট দিয়ে জালিয়ার দ্বীপসহ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকেতে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, নাফ নদ অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাশাপাশি কোনো লোকজন যাতে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য টেকনাফের সীমান্ত পয়েন্টে সবোর্চ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে দমদমিয়ার নাফ নদ সীমান্তে বিজিবির তিনটি স্পিডবোটের টহল অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের মংডু থেকে ছোট ছোট ট্রলারে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েকদিন ধরে সীমান্তে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে অনেক রোহিঙ্গা। একজন রোহিঙ্গাও যাতে সীমান্ত দিয়ে ডুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
অধিনায়ক আরও বলেন, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে লোকজন অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নতুন করে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। আজকে পর্যন্ত ১৩৭ জনকে প্রতিহত করা হয়েছে। অন্যদিনের তুলনায় এ দিন সীমান্ত শান্ত ছিল।
অপরদিকে রোববার সকালে ঘুমধুম ও উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শনে যান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহিন ইমরান ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় কমিশনার সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন এসএসসিতে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের পরিবর্তে ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বড়বিল) ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (আজুখাইয়া) পরীক্ষা নেওয়া হবে।