গুগলের ইউটিউবের মতো মেটার হোয়াটসঅ্যাপেও খোলা যাচ্ছে চ্যানেল। আর এই চ্যানেল থেকে আয়ও করা যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপে সাম্প্রতিক কালে যে নতুন ফিচার্সগুলো এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চ্যানেলস। যেখানে বড় বড় তারকা, সেলেব্রিটি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফলো করার সুবিধা রয়েছে। তবে এই প্ল্যাটফর্ম শুধু তাদের জন্য নয়, একজন সাধারণ মানুষও খুলতে পারবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল।
মেটা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলস সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখানে ইউজাররা নিজের চ্যানেল বানিয়ে কমিউনিটি তৈরি করার সুযোগ পাবে। তবে শুধু সামাজিক পরিচিতি নয় বেশ কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল থেকে আয়ের উপায়-
আপনার যদি ছোট ব্যবসা থাকে অথবা সদ্য নতুন ব্যবসা খুলে থাকেন তাহলে এই চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমেই নিজের ক্যাটালগ দেখাতে পারেন। তাদের অর্ডার নেওয়া এবং পেমেন্ট সাপোর্টও দিতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন মার্চেন্ডাইস এবং অ্যাক্সেসরিজও বিক্রি করার সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া কারও যদি ব্যবসা নাও থাকে সে বিভিন্ন গ্রাফিক্স টেম্পলেট, ই-বুক, অনলাইন কোর্স, ডিজিটাল প্রোডাক্টস ইত্যাদি প্রমোট করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি কোনও বিপণন সংস্থার পণ্য বিক্রি করলে তার থেকে উত্পন্ন রেভেনিউ-এ নির্দিষ্ট অংশের লাভ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেও সেই সুযোগ রয়েছে। সাবস্ক্রাইবার ও ফলোয়ারদের সেই সকল পণ্যের লিঙ্ক পাঠাতে পারেন যা থেকে আয় হতে পারে আপনারও।
এমন বহু মানুষ আছেন যাদের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে খুবই দক্ষতা রয়েছে। যেমন- রান্না, আঁকা, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি ইত্যাদি। এই সকল বিষয়ের উপর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে ওয়ার্কসপ তৈরি করতে পারেন এবং তার বদলে একটি চার্জ নিতে পারেন কাস্টমারদের থেকে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে যেহেতু ভিডিও, অডিও কলের সুবিধা রয়েছে তাই ওয়ান-অন-ওয়ান কোচিংও করাতে পারেন।
ডিজিটাল জমানায় বাড়ি বসে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। যার জন্য বর্তমানে একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ যেহেতু একটি পার্সোনাইলজড অ্যাপ তাই এখানে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে খুবই স্বচ্ছ ভাবে নিজের দক্ষতা তুলে ধরতে পারবেন। আপনি যদি লেখালিখি করতে ভালবাসেন কিংবা ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ও প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে নিজের চ্যানেল বানিয়ে ফলোয়ারদের সেই পরিষেবা দিতে পারেন।