শিরোনাম
Finest Online Gaming Sites: A Comprehensive Overview The Ultimate Overview to Free Spin Online: Every Little Thing You Need to Know উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দল গঠনে যুক্ত হলে সরকারে নয়: রিজওয়ানা হাসান নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি রোগীদের জন্য কলকাতার বিকল্পে চীন দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে আসা উচিত: ফখরুল বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন যারা হাজী লোকমান পাবলিক স্কুলের সবক ও দোয়া অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কাজ চলছে: আইজিপি ভোটার তালিকা হালনাগাদে ইসির বিশেষ নির্দেশনা টিউলিপের পদে নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস সেন্টমার্টিন দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি রিসোর্ট পুড়ে ছাই গাঁজা সেবনে সিজোফ্রেনিয়া ও পাগল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে হাসিনার পথে কেউ হাঁটলে পরিণতি তার মতোই হবে: সারজিস আলম বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

১৪ মাসে কোরআনের ক্যালিগ্রাফি করে তাক লাগালেন ভারতীয় তরুণী

দর্পণ ডেস্ক / ২৭৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

‘আমার খুব শখ ছিল ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করে আমার প্রিয় কোরআনের নকল তৈরি করব। গত বছর কোরআনের একটি অধ্যায় নকল করে আমি আমার বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধবদের দেখাই। তারা খুবই খুশি হয়। আমি তাদের বলেছিলাম ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করে আমি পুরো কোরআন নকল করতে চাই।

তারা আমাকে খুব উৎসাহ দেয়। তবে বলে যে কাজটা সহজ হবে না।’
উনিশ-বছর বয়সী ফাতিমা সাহাবা তার সাফল্যের গল্পটি এভাবেই বলছিলেন।

কিন্তু মাত্র ১৪ মাসের মধ্যে কোরআনের নকল করে তিনি সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। শুধু আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবই না, তার এই সাফল্যের কথা শুনে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অপরিচিত জনেরাও।

ফাতিমা থাকেন দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার কান্নুর জেলায়। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকা এবং ক্যালিগ্রাফির প্রতি ছিল তার বিশেষ ঝোঁক। প্রায়ই তিনি ছবি এঁকে মা-বাবাকে দেখাতেন। তারাও তাকে উৎসাহ দিতেন।

ক্লাস নাইনে পড়ার সময় তিনি লিপিবিদ্যা বা ক্যালিগ্রাফির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে থাকেন। “এই বিশেষ বিদ্যার প্রতি ভালবাসা”র টানে তিনি প্রায় প্রতিদিনই ক্যালিগ্রাফিতে হাত পাকাতেন।

“স্কুল থেকে বাসায় ফিরে একটু রেস্ট নিয়েই শুরু করতাম আঁকার কাজ করতেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলছেন, কোরআন শরীফ এবং তার আয়াতগুলো তাকে বরাবরই মুগ্ধ করতো। তাই সেরা ক্যালিগ্রাফ লিপি দিয়ে তিনি কোরআন নকল করতে চাইছিলেন।

“প্রথম দিকে একটা বা দুটো আয়াত নকল করতাম,” বলছেন ফাতিমা, “মা-বাবা খুব প্রশংসা করতেন। আয়াতগুলো ফ্রেমে বাঁধিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতাম।

“কিছুদিন পর দেখা গেল আমার পরিচিত জনেরা সে সব ফ্রেম কিনে নিচ্ছেন। আর আমি মনের আনন্দে তাদের জন্য আঁকতে থাকলাম।।

“এতে করে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। আমিও যে কিছু একটা করতে পারি, কিছু একটা আমার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমি এটা বিশ্বাস করতে শুরু করি।”

ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ার সময় ফাতিমা সাহাবা তার পরিবারের সাথে ওমানে থাকতেন। এক ছোট বোন এবং এক ছোট ভাই আর মা-বাবা নিয়েই তার পরিবার।

এক সময়ে তার পরিবার ভারতে ফিরে আসে। কান্নুর জেলার কোডাপারমবা শহরে তাদের বাস।

স্কুল শেষ করার পর ফাতিমা কলেজে ছবি আঁকা শিখতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি ইন্টিরিয়ার ডিজাইন পড়া শুরু করেন। এখন কান্নুরের কলেজেই তিনি ইন্টিরিয়ার ডিজাইন পড়ছেন।

তিনি বললেন, ওমান থেকে ভারতে ফেরার পর প্রথম দিকে সবার সাথে মিশতে তার লজ্জা লাগতো। কিন্তু এখন তার বেশ কিছু বন্ধু তৈরি হয়েছে।

“ওমানের জীবন ছিল এক রকম,” বলছেন তিনি, “আর ভারতের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ অন্য রকম। তবে এখানে মজা অনেক বেশি। এখানে আমার সব আত্মীয়-স্বজন থাকেন।”

ফাতিমা জানান, প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে আমি একটু বিশ্রাম নিতাম। তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে আমি কোরআন নকলের কাজে হাত দিতাম। গত বছর অগাস্ট মাসে আমি ক্যালিগ্রাফির কাজ শুরু করি এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি কোরআন নকলের কাজ শেষ করি।”

“আমার ভয় ছিল যে আমি হয়তো কোরআন নকলের কাজে কোন একটা ভুল করে ফেলবো,” বলছেন তিনি, “ছবি আঁকার সময় আমার মা তাই আমার পাশে বসে থাকতেন, এবং কোথাও কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখলে সেটা ধরিয়ে দিতেন।”

যাতে কোন ধরনের ভুল না হয় সে জন্য ফাতিমা প্রথমে পেন্সিল দিয়ে ক্যালিগ্রাফের নকশা তৈরি করতেন।

“যখন আমি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হতাম যে কোথাও কোন ভুল নেই তারপর আমি কলম দিয়ে নকশাগুলোকে পাকা করতাম,” বলছেন তিনি।

“আমার শুধু মনে হতো এত বড় এবং কঠিন একটা কাজ কি আমি শেষ করতে পারবো? আমার নিজের ক্ষমতা নিয়েও মাঝে মধ্যে সন্দেহ তৈরি হতো।

“কিন্তু দেখা গেল প্রতিদিন কাজটা করতে গিয়ে আমি বেশ আনন্দই পাচ্ছি। ঘণ্টা পর ঘণ্টা সময় যে কোন দিক থেকে কেটে যেত তা টেরই পেতাম না।”

কোরআন নকল করতে গিয়ে ফাতিমা মোট ৬০৪টি পাতা তৈরি করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ