চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘাতক মমিন দেওয়ান (৪২) কোনো কারণ ছাড়াই মা মনোয়ারা বেগম (৬৫) কে হত্যা করে। ঘটনাটি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালীর দেওয়ান বাড়িতে ঘটেছে। ঘটনার পরপরই সে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যাকারীর ছবি দেখে স্থানীয় জনতা ঘাতককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ২৭ অক্টোবর বুধবার ভোরে দেওয়ান বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত মনোয়ারা বেগম (৬৫) এর লাশ থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম আবুল হাশেমের ছেলে মমিন দেওয়ান ঘুমের মধ্যে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেই পালিয়ে যায়। ফরিদগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ ঘাতকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে জনতা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভাটিরগাঁও এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয়রা জানায়, এক সন্তানের জনক মমিন ১৭ বছর পূর্বে রুব্বান নামের এক নারীকে হত্যা করেছে। সে মানুষিকভাবে বিকারগ্রস্থ। সে প্রায়ই পরিবারের লোকদেরকে হত্যা করার কথা বলতে।
এ বিষয়ে বাড়ির একাধিক লোকজন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘সে বাহিরের সকল মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতো। শুধু ঘরে গিয়ে তার মা এবং পরিবারের লোকদেরকে খুন করেবে বলে হুমকী দিতো। গত রাতেও সে এবং তার মা ছাগলের বাছুরকে দুধ খাইয়েছে। সে মানুষিক রোগী ছিলো, যার কারনে সে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যেনেছি সে মানসিক রোগী। পারিবারিকভাবে সে ভালো ছিলো না। আর্থিক সংকটের কারণে বৌ চলে যায়, একই কারণে সে হতাশায় ভুগতো। সে খুনের দায়ে অনেকদিন জেলেও খেটেছে। ফরিদগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ‘আমরা শুনামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে এসেছি এবং ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়েছে।