বরিশালে প্রত্যেক দিন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলেও কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ মানছে না নগরবাসী। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা চেকপোস্ট পেরিয়ে নগরমুখী হচ্ছেন জনসাধারণ।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অনেকেই ঘুরে বেড়িয়েছেন। নিয়ম অমান্য করে নগরীর অধিকাংশ দোকানপাটে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নগরীতে বেড়েছে ব্যক্তিগত যান। শহরতলীতে অবাধে চলাচল করছে গণপরিবহণ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কঠোর লকডাউনের ১২তম দিনে বরিশালের জনজীবন অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি গিয়ে ঠেকেছে। নগরীতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়েছে জনসমাগম। অনেকেই অহেতুক অজুহাতে নগরীতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কৌশলে খুলে পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
নগরীতে অন্যান্য দিনের তুলনায় রিক্সা ও ব্যক্তিগত যান বেড়েছে। শহরতলীতে অবাধে অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা চলাচল করেছে।
নগরবাসীকে ঘরে রাখতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট ও নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে বরিশালে সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১২ জনকে আটক ১৫টি মামলায় ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায়। লকডাউনের ১২ তম দিনে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের নেতৃত্বে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৩ টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১২ ব্যক্তিকে আটক, ১৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দণ্ডবিধি ২৬৯ ধারার পৃথক মামলায় ২৪ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বরিশাল মহানগরীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ দস্তেগীরের নেতৃত্বে নগরীর সদর রোড, চক বাজার রোডে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি ও মাস্ক না পরার অপরাধে ৯ জনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি ৫ জন ব্যক্তিকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বরিশাল মহানগরীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল রাব্বির নেতৃত্বে নগরীর জেল খানার মোড়, কাউনিয়াসহ অন্যান্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করায় ৩ জন ব্যক্তিকে ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পাশাপাশি নগরীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলালের নেতৃত্বে নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করায় ৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।