কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৮৯তম দিনে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ২১২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার চার জন।
এই সময়ে ১১ হাজার ৩২৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গতকাল দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১১ হাজার ৬৫১ জন। গত ৭ জুলাই সর্বোচ্চ ২০১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৬ হাজার ৫৮৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৩২৪ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ২০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ তিন হাজার ২৬৮টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৫৪৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৩৮ জনসহ মোট আট লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ ও ৯৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৯৬ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৬০ জন, বেসরকারিতে ৩৬ জন) ও বাড়িতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার চার। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২৫৪ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং চার হাজার ৭৫০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১২ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী দুইজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী সাতজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৪০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৯০ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, খুলনা বিভাগে ৭৯ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচজন, সিলেট বিভাগে ছয়জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৬৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪০ লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি পাঁচ লাখের বেশি।