কঠোর বিধিনিষেধের ৭ম দিন বুধবার বরিশালের জনজীবন অনেকটা স্বাভাবিক দেখা দেখা গেছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা চেকপোস্ট পেরিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে নগরীতে প্রবেশ করছেন সাধারণ জনতা।
এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিক্সার চলাচল ছিল লক্ষণীয়। প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাসহ অলিগলির অধিকাংশ দোকানপাট কৌশলে খুলে বেচাবিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। নগরীর মধ্যে কোনো ধরনের গণপরিবহণ না চললেও শহরতলীতে তা চলাচল করতে দেখা গেছে।
কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বরিশাল জেলায় ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল কাজ করছে। পাশাপাশি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ২০টি দলসহ অন্যান্য বাহিনী মাঠে রয়েছে। অভিযানে অপ্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন দণ্ড প্রদান করা হচ্ছে। তারপরও নগরীতে অহেতুক ঘুরে বেড়ানো মানুষদের ঠেকানো যাচ্ছে না। শহরতলীর এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে অহেতুক ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
বরিশাল নগরীর কোথাও গণপরিবহণ চলাচল করতে দেখা যায়নি। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের। সড়ক যানশূন্য থাকায় গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া।
শহরতলীতে স্থানীয় দোকানপাট কৌশলে খুলে রাখতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর বাজারগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষণীয়। উন্মুক্ত স্থানে বাজার পরিচালিত না হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দেখা যায়নি কাউকে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিএমপি পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নগরীতে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ জানান, বরিশালে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। তাই খুব জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। বিধিনিষেধ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।