ইসরায়েলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কম কার্যকর ছিলো ফাইজারের ভ্যাকসিন কিন্তু তীব্র করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে একটা প্রতিরক্ষা ঢাল তৈরি করে বলে উঠে এসেছে সেখানকার সরকারি তথ্যে।
এই ভ্যাকসিনের ফলে ৬ জুন থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ মানুষ অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেয়েছে। যদিও আগে এই সংখ্যাটা ছিলো ৯৪ শতাংশ। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই কমে যাওয়ার ঘটনাটা ঘটেছে কারণ সেখানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। কাকতালীয়ভাবে জুনের শুরু থেকেই দেশটিতে করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
তবে সংক্রমণ বাড়লেও চূড়ান্ত অসুস্থতা থেকে রক্ষা করছে এই ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে আগে যেখানে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৯৭ শতাংশ ছিলো সেটা একটু কমলেও ৯৩ শতাংশেই আছে বলে উঠে এসেছে সরকারি তথ্যে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ধরা পড়ে ভারতে, বর্তমানে সারাবিশ্বে সেটা ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বিভিন্নে দেশে ভ্যাকসিন বিতরণ চলছে। এই মিউটেশনটি দেশগুলোকে ব্যবসা, কাজকারবার ও ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়গুলো আবার ভাবতে বাধ্য করছে।
ফাইজারের মুখপাত্র ডারভিলা কেয়ানি ইসরায়েলের এসব তথ্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি তুলে ধরেন, ভ্যাকসিনটি নতুন মিউটেশনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম শুধু কিছু ক্ষেত্রে তা হালকা কমে যায়। সেই সব প্রমাণ বলছে, এই ভ্যাকসিন এসব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
ইসরায়েলে করোনার ভ্যাকসিন বিতরণ পদক্ষেপ খুবই সচল। এরই মধ্যে সেখানে পুরোপুরি ভ্যাকসিন পেয়েছে ৫৭ শতাংশ মানুষ।
ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের অনেকেও নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াইনেট নিউজ সার্ভিস। গত শুক্রবার নতুন আক্রান্তদের ৫৫ শতাংশকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। ৪ জুলাই সেখানে ৯.৩ মিলিয়ন জনগণের মধ্যে ৩৫ জনের অবস্থা গুরুতর ছিলো। সেখানে ১৯ জুন সংখ্যাটা ছিলো ২১।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং যে হারে করোনাভাইাস ছড়িয়ে পড়েছে তার মূল্যায়ন করার জন্য সরকার বয়স, পূর্ব-বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের তারিখের মতো করোনভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের নিয়ে গবেষণা করার পরিকল্পনা করেছে।
জনসমাগমে আবার মাস্ক পরার নিয়ম চালু করে সেখানকার সরকার এসম্পর্কিত অন্যান্য সব বিধিনিষেধ নতুন করে চালু করার কথা ভাবছে। তবে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিতে উৎসাহিত করার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী অফিসার আলবার্ট বউরলা বলেন, পুরোপুরি প্রতিরক্ষার জন্য জনগণের ১২ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেওয়া উচিত।