চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণেবই ব্যবসায়ীরা দুঃসময় পাড় করছে। বই ব্যবসা মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে বেচা কেনা হয়, বন্ধ থাকলে বেচাকেনা হয় না।
মতলব উত্তর ও দক্ষিন উপজেলায় ৮০টি ছোট বড় বইয়ের দোকান আছে। ওই সব বই ব্যবসায়ীরা দোকান ভাড়া, কর্মচারিদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, পৌর টেক্স, ব্যাংকের সুদ দিতে হয় নিয়মিত। এতদিনে ব্যবসার মূল পুঁজি দিয়ে পরিবার ও দোকানের খরচ চালিয়ছেন তারা। অনেকই পুঁজি শেষ করে দোকান বন্ধ করে দিয়ে বেকারত্ব জীবন যাপন করছেন।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশকও বিক্রেতা সমিতি মতলব উত্তর উপজেলা শাখা সভাপতি ও মোল্লা লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন জানান, প্রায় ১৬ মাস ধরে বইয়ের দোকানে বেচা কেনা নেই। বড় কষ্টে আছেন মতলবের বই ব্যবসায়ীরা। আরও কিছু দিন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং এভাবে লকডাউন চলতে থাকে তাহলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করতে হবে।
স্থানীয় কয়েকজন বই ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার সব পেশা লোকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্হা করলেও আমাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই এ পেশা বাঁচাতে প্রণোদনা দেয়া জরুরী দাবী জানাই।