বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭৫’র ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। জামাত-বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে ষড়যন্ত্র করে এসেছিল।
তাদের অত্যাচারে কেউই বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে আনতে সাহস পায়নি। মতলব সহ সারাদেশে জামাত-বিএনপি বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।জামাত-বিএনপি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে নানান ষড়যন্তে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মতলব উত্তরে রাজাকারের সন্তানরা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ১৯৭১ সনের পূর্বে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছে। আমরা কখনও জামাত-বিএনপি’র সাথে আঁতাত করেনি। ইদানিং জামাত-বিএনপি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,২৬ জুন বিকেল সাড়ে তিনটায় মোহনপুর পর্যটন লি: সামনে দিয়ে নেতা কর্মীদের নিয়ে সাবেক সফল মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এর বাড়িতে যাবার পথে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী রাজাকারের সন্তান কাজী মিজান দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত নেতা-কর্মীরা ন্যায়বিচার চায়। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আওয়ামি লীগে অনুপ্রবেশকারী রাজাকারের সন্তান কাজী মিজান ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রায়হান, ষাটনল ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ, সাদুল্লাপুর ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া, যুবলীগ সদস্য খোরশেদ আলম, মাইনুল ইসলাম, মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আদম আলী, দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী বাবু, উপজেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডিসি মিজান, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা জহির, রিমন সাদ্দাম, পিন্টু, শাহীন, জিহাদ হাসান, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা আমির হোসেন কানু, ওয়াসিম প্রমূখ।