টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড প্রতিদিনই ভঙ্গ করেছে। বুধবার নতুন করে ৩২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
সরবরাহ না থাকায় টাঙ্গাইল শহরের ফার্মেসিগুলোতে প্যারাসিটামাল জাতীয় নাপা ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে রোগীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসে প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নাপা জাতীয় ওষুধের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফার্মেসির মালিকরা। দুই একটি ফার্মেসিতে পাওয়া গেলে দ্বিগুণ দাম নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভোক্তারা।
বুধবার দুপুরে শহরের নিউ মার্কেট, রেজিস্ট্রিপাড়া, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল গেট, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
শহরের প্রায় প্রতিটি ঘরে জ্বর, কাশি রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাপা জাতীয় ওষুধের জন্য ফার্মেসিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। তবে নাপা জাতীয় ওষুধ পাচ্ছে না।
হুমায়ন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার ছেলের গত তিন দিন যাবত জ্বর। নাপা ওষুধ শহরের একাধিক দোকানে খুঁজে পাইনি। দোকানদার শুধু বলেন সরবরাহ নেই। এতে আমার ছেলের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রুপচান মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবত জ্বর ও শরীর ব্যথায় ভুগছি। অনেক দোকানেই নাপা নেই। দুই একটি দোকানে পেলেও দাম দেড় থেকে দুই গুণ বেশি নেয়া হয়। আমি এক পাতা নাপা ওষুধ ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাও আবার পাওয়া যায় না।
নাফিজ মেডিকেল হলের সত্ত্বাধিকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাপা জাতীয় ওষুধের চাহিদা কয়েক গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত ক্রেতা নাপা, নাপা সিরাপ, নাপা এক্সট্রা চাইলে দিতে পারি না। বাজারে এসব ওষুধের চাহিদা রয়েছে। সরবরাহ না থাকায় বিক্রিও করতে পারি না।
শফিক মেডিকেল হলের প্রোপাইটর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ না থাকায় পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা ওষুধ দিতে পারছি না। কোম্পানির লোকদের বললে তারা বলেন- বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ১৫ দিন যাবত নাপা জাতীয় সকল ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে চাইলে আমি তাদের মানা করেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।