কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৭৯তম দিনে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এদিন নতুন ১১২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৮ জন।
গত এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। আর ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩১ হাজার ৯৮২টি নমুনা পরীক্ষায় সাত হাজার ৬৬৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮২৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন নয় লাখ চার হাজার ৪৩৬ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ২৭ জনসহ মোট আট লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ ও ৪৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ৯৮ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৭৭ জন, বেসরকারীতে ২১ জন) ও বাড়িতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে একজনকে আনা হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৮৮। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৫৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং চার হাজার ১৩৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১১২ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী দু’জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৪ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬১ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ২২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ কোটি ৬৮ লাখের বেশি।