বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বাসায় ফিরবেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সন্ধ্যায় চিকিৎসকেরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
গত ১৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ দিন পর ৩ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। তিনি ৯ মে করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হন। হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা বলেছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কারণ তিনি করোনা থেকে মুক্ত হলেও আথ্ররাইটিসসহ পুরোনো অনেকগুলো রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় সেগুলোর জটিলতা বেড়েছে। এর মধ্যে হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরোনো অসুখ রয়েছে। এ সব রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন।