ভারত সীমান্তবেষ্টিত দিনাজপুর সদর ও জেলাটির বিরামপুরে মঙ্গলবার থেকে টানা সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের এই লকডাউন মানতে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার দিনাজপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অটোরিক্সা, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। শুধু দিনাজপুর সদর উপজেলা নয়, সদর উপজেলার বাইরেও বিভিন্ন সড়কে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী বাস ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেছে। বিনা দরকারে মাস্ক ছাড়াই মানুষদের ঘোরাফেরা করতেও দেখা গেছে।
তবে শহরের কিছু কিছু জায়গায় প্রশাসনকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। শহরের দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড়, লিলিমোড়সহ কয়েকটি স্থানে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু মোটরসাইকেল আটক ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু এরপরও যাত্রীবাহী বাস ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুঈদ সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউনের প্রথম দিনে তারা সাধারণ জনগণের প্রতি শক্তিপ্রয়োগ না করে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হতে সবাইকে নিরুৎসাহিত করেছেন। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকার কথা মাথায় রেখে তাদের চলাচল কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, দিনাজপুর সদর উপজেলার পাশাপাশি হিলি স্থলবন্দর খ্যাত দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলাতেও মঙ্গলবার সকাল ৬ থেকে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। সেখানেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
দিনাজপুরে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেলে সোমবার দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি স্বাক্ষরিত এক গণবিবজ্ঞপ্তিতে ১৫ জুন সকাল ৬ টা থেকে আগামী ২১ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত ১৩ দফা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পাশাপাশি গত সোমবার দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটিও একই সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় গত ১৫ দিনে ৫৬১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৭১ জন এবং মারা গেছে ৬ জন।
মঙ্গলবার দিনাজপুর জেলায় করোনা শনাক্তের হার ছিলো ৩২ শতাংশ এবং করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৪৩ জন।