গোটা বাংলাদেশকেই বিশাল একটি পর্যটন স্পট উল্লেখ করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো হান্নান মিয়া বলেছেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি এর প্রচার এবং বিপণনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ষাটনল পর্যটনের বিকাশ হলে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, বাড়বে মানুষের কর্মসংস্থান।
শনিবার (১২ জুন) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো হান্নান মিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব প্রদানকালে এসব কথা বলেন। মতলব উত্তরের মেঘনা নদীর তীরে ষাটনল এলাকা পর্যটকবান্ধব করার জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের গৃহীত উদ্যোগের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনেরচেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া ষাটনল এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিপিসি চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া বলেন, ষাটনল পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে এটিকে একটি গতিশীল খাতে পরিণত করতে। যেন জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে আসলে আমরা থমকে গিয়েছিলাম। করোনায় বিশে^র যে শিল্পগুলো সবচেয়ে ঝুঁঁকির মুখে পড়েছে সেগুলোর মধ্যে পর্যটন খাত সবার শীর্ষে। আমাদের যে ভাবনাগুলো ছিল বা যেভাবে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম, তা মাঝপথে অনেকটা থমকে গেছে। তবে আমরা এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করছি। আশার কথা হলো আমরা আবার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। ‘নিও নরমাল’ পর্যটন ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হচ্ছি।
তিনি বলেন, ষাটনল পর্যটন এলাকাটি খুবই সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে। ঢাকার কাছের এ পর্যটন কেন্দ্রটি মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় পর্যটকদের সুবিধা বেশি। আমরা এ পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে কাজ করবো।
দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া। তিনি বলেন, ছোট-বড় অসংখ্য পর্যটন স্পটে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি, দক্ষ জনবল তৈরি ও পর্যটকদের কাঙ্খিত সেবা দিয়ে সূচনালগ্ন থেকেই বিপিসি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। করোনা মহামারির কারণে এ খাতের অগ্রযাত্রা থমকে গেলেও তা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ সচিব মো. মাহমুদ কবির, মহাব্যবস্থাপক পরিকল্পনা পর্যটন কর্পোরেশন মো. জাকির হোসেন সিকদার, মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় আ. লতিফ মিয়া, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফরোজা হাবিব শাপলা, মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদ’সহ সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।