একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নির্যাতনের শিকার আরও ১৬ জন বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গত ৬ জুন গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ৪১৬ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
নতুন করে সুনামগঞ্জের গুলবাহার বেগম, মাদারীপুরের অজুফা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনোয়ারা বেগম ও রুমিয়া খাতুন, পিরোজপুরের বিল্ল বাসিনী ও শেফালী সিকদার, চট্টগ্রামের হোসনে আরা বেগম, নরসিংদীর জাহেরা খাতুন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন মৌলভীবাজারের মইরম নেছা, হাজেরা বেগম ও প্রীতি রানী দত্ত; রংপুরের মোছা. ফাতেমা বেগম, মোছা. বেগনা বেগম ও মোছা. মালেকা বেগম।
নোয়াখালীর শোভা পারভীন ও বাগেরহাটের সেতারা বেগমও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
আগেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ৪০০ থেকে ৫০০ জন বীরাঙ্গনাদের তালিকা নিয়ে কাজ করছেন তারা, পর্যায়ক্রমে সবাইকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
গত ২৫ মার্চ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত তিন দফায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৪১ জনের নাম প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রকাশিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকায় নারী মুক্তিযোদ্ধারাও (বীরাঙ্গনা) রয়েছেন। আলাদা আলাদা গেজেট প্রকাশিত হলেও আমাদের মন্ত্রণালয় সবগুলো একসঙ্গে মিলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে।”