নদীতে নামার অপেক্ষায় অভ্যন্তরীণ রুটে সবচেয়ে বিলাসবহুল লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১৬। লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টুর মালিকানাধীন সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির সিরিজের লঞ্চটি আসন্ন ঈদুল আযহার পরে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।
সুন্দরবন-১৬ অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন লঞ্চ। বলা চলে এটি হবে কোম্পানির ফ্লাগশিপ। এই লঞ্চটি পুরাতন কোনো লঞ্চের বডি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়নি। সম্পূর্ণ নতুনভাবে মূল অবকাঠামো নির্মাণের পর শিপইয়ার্ড থেকে নামিয়ে বরিশালের কীর্তনখোলায় ভাসানো হয়েছে। এখন চলছে সৌন্দর্যবর্ধন আর বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ।
চারতলা বিশিষ্ট এই লঞ্চের নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে নৌ-অধিদফতর থেকে সার্ভে করে কত সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করতে পারবে তার অনুমতি দিবে। সরকারি হিসেবের বাইরে স্বাভাবিকভাবেই ১০ হাজারের বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে সুন্দরবন-১৬।
লঞ্চটিতে লিফট ও ডুপ্লেক্সের মতো সুযোগ-সুবিধা থাকছেই, পাশাপাশি তিন তলায় সুন্দর একটি রিসিপশন কক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে।
লঞ্চের ক্যাপসুল ডিজাইন থেকে বাহ্যিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ডেক ও কেবিনের সামনে চলাচলের প্রশস্ত জায়গা, পর্যাপ্ত টয়লেট, ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রয়েছে।
দৈর্ঘ্যে ৩০০ ফুট এবং প্রস্থে ৫৪ ফুট লঞ্চটিতে সরকারিভাবে হয়তো ১২০০ থেকে ১৫০০ যাত্রীর ধারণক্ষমতার অনুমতি পেতে পারে। সুন্দরবন-১৬ লঞ্চে দুই শতাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন ভিআইপি, সেমি ভিআইপি, ইকোনমি, ফ্যামিলি, সিঙ্গেল ও ডাবল শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সোফার ব্যবস্থাও থাকবে। সুরক্ষিত ডেকে যাত্রীরা নিরাপদে যেতে পারবেন।
এ ছাড়া থাকবে রাতে চলাচলের জন্য থাকবে উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও জিপিএস। নদীর ডুবোচর ও পানির পরিমাণ নির্ধারণ করে বসানো হচ্ছে ইকো সাউন্ডার। সরকারি সনদপ্রাপ্ত মাস্টার, সুকানি নিয়োগ করা হবে। যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।লঞ্চটি সম্ভাব্য রুট ধরা হয়েছে ঢাকা-বরিশাল।