২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএলএ)।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠন দুটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৩০ নভেম্বর থেকে পরিবর্তন করে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন। পরবর্তী সময় করদাতাদের আবেদনরে পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে, যা আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে করোনার পরিস্থিতির কারণে ২০১৯-২০২০ সালের রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছিল।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তামাদিযোগ্য আয়কর মামলা, আপিল মামলা ও ট্রাইব্যুনাল মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় করদাতাদের পক্ষ থেকে ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশন আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৪জি ধারায় আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য গত ৮ এপ্রিল, ৫ মে, ও ৩১ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আবেদন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএলএ) পক্ষ থেকে গত ৭ এপ্রিল ও ৩১ মে আবেদন দাখিল করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান ও ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা, কোম্পানি ব্যতীত ব্যক্তি ও অন্যান্য শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ সময় ৩০ নভেম্বর। আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে করদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপকর কমিশনার সর্বোচ্চ দুই মাস এবং যুগ্ম-কর কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে আরও দুমাস সময় রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রদান করতে পারেন।