শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্বের মাঝে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্বাধীন ও ভারসাম্যমূলক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় স্বার্থে কারো কাছে মাথা নত করেনি আওয়ামী লীগ সরকার। বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, প্রভু নেই বরং বিএনপির বিদেশে প্রভু রয়েছে, বন্ধু নেই।
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে রোববার বিকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশি প্রভুদের ইশারায় দেশ চালাতো। বিএনপিই দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো, আওয়ামী লীগ নয়। বিএনপি নেতাদের গণতান্ত্রিক উদার রাষ্ট্রের বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা কাদের সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক উদার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন? সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, আর ধর্মীয় বিভেদ রচনাকারীদের নিয়ে বিএনপি কোন উদার রাষ্ট্র গড়বে?
গণতন্ত্র একদিনে প্রতিষ্ঠার বিষয় নয়, এটি দীর্ঘ পথচলা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পথে যে অব্যাহত যাত্রা, তাতে পদে পদে বাধা দিয়ে বিএনপি এখন কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন? তিনি বলেন, জণগণ বিএনপির কাছে দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশা করে কিন্তু তারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিয়ে, সহযোগিতা না করে বরং গণতন্ত্রের চলমান ধারাকে রূদ্ধ করতেই প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নানানা অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে নির্বাচনের কফিনে ছিলে গণতন্ত্রের লাশ। এক কোটি পঁচিশ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে নির্বাচন করতে গিয়ে দেশে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করেছিলেন বিএনপি। দিনের বেলায় গণতন্ত্রের কথা বলে আর রাতের বেলায় কারফিউ দেওয়াই ছিল বিএনপির গণতন্ত্রের নমুনা। সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, বিএনপির অস্থিমজ্জায় রয়েছে প্রতিহিংসা ও অসহিষ্ণুতা, এটাই তাদের ইতিহাস। সরকার খালেদা জিয়ার ইস্যুতে যতটা উদার ও মানবিক দিক দিয়ে বিবেচনা করছে, বিএনপি তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করছে।