বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন,‘জাতীর পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি মতলবে এসেছি সেনা প্রধান হিসাবে নয় মতলবের সন্তান হিসাবে বাবার নামের হাসপাতালটি উদ্বোধন করতে। আপনারা যারা এখানে এসেছেন আমি আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
১৭ জানুয়ারি রোববার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ টরকীতে তিনি তাঁর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু একটি রাজনৈতিক বিষয়, এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের সরকার মানবিকতার, আন্তরিকতা ও দায়ত্বশীলতার সাথে কাজ করছেন। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে, এই মূহুর্তে সীমান্ত এলাকায় কোন শংকা নেই।’
তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যখন আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হয় তখন আমরা জীবনকে বাজি রেখে সমগ্র দেশে কাজ করেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সাংসদ এ্যাড. নুরুর আমিন রুহুল, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ,পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বার, জেলা আওয়া মীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন শাখাওয়াত উল্যাহ,মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাস,বিশিষ্ট সমাজ সেবক আনিস আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এম ইসফাক আহসান, মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুশরাত জাহান মিথেন, ওসি নাছির উদ্দিন মৃধাসহ সেনা বাহিনী, প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হেলিকাপ্টারে করে তিনি উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিন টরকীতে উপস্থিত হন।
পরে তিনি তাঁর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপন করেন।
[…] […]