চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনের গাঁ গ্রামের প্রবাসী মিরন খাঁর মূল্যমান অর্ধশতাধীক মেহগনী গাছসহ বিপুল পরিমান কলা গাছ কেটে সাবাড় করেছে প্রতিপক্ষ দিদার খান।
সরেজমিন ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মিরণ খাঁন দির্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করছেন। নিজের উপার্জনের অর্থদিয়ে এলাকায় ৫৭ শতক জমি ক্রয় করেছেন। মদনের গাওঁ মৌজায় ১৯৩৪ ও ১৯২২ দাগে ০৮ শতক ও ২৮ দাগে ২৫ শতকসহ অন্যান্য দাগ মিলে মোট ৫৭ শতক জমি। বাড়িতে স্বাভাবিক যাতায়াতের রাস্তা থাকা সর্তেও রাস্তাকে প্রশস্ত করণের অযুহাতে প্রতিপক্ষ দিদার (৪৫), মিলন (৩৮),ইকবাল (৩৫),জসিম (৫০),মঞ্জিল , বাহার , জাহাঙ্গীর খান, নাজির খানসহ একটি চক্র অন্যায়ভাবে মিরান খানের অর্ধশতাধীক মেহগনী ও কলা গাছ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হঠাৎ ৮/১০ জনের একটি চক্র গাছগুলো কর্তন করে এ সময় মিরানে বৃদ্ধা মা কুলছুমা বেগম(৮০) প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে লাঞ্চিত করাসহ একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবী করে জানান।
এ ঘটনায় মিরানের মা কুলছুমা বাদী হয়ে আদালতে ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করেন। ঘটনার বিষয়ে মিরানের বৃদ্ধা মা কুলছুমা বেগম ও পরিবারের লোকজন জানায়, আমার ছেলে বিদেশ । বাড়িতে কোন পুরুষ লোক নেই আমাদের। দিদারের নেতৃত্বে আমাদের গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে আমি বাধা দিলে আমাকে লাঞ্চিত করে ওরা। আমাদের কে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলছে। তাছাড়া গাছ কেটেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ঐ চক্রটি সম্প্রতি গাছগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্যও পাঁয়তার করছে।
ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষ দিদার খানের চাচা তাজুল ইসলাম খান জানান, আমরা ৭ একর ২০শতক জমি ক্রয় সূত্রে মালিক । আমরা আমাদের জমিতে রাস্তা প্রশস্ত করছি। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন অন্যায়ভাবে আমাদের কে বাঁধা দিচ্ছে । গাছ কে রোপন করেছে জানতে চাইলে পূর্বের জমির মালিকের কথার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শফিকুর রহমান জানান, উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান করে নিয়ে রাস্তার কাজ করা উচিত ছিল। সমন্বয়হীনতাই অনেকাংশে দায়ি।
তিনি আরোও জানান উভয় পক্ষই সামাজিক তাই এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তি করে নেওয়া দরকার।