বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক সাথে ২৮টি পরিবারকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে। কারন হিসাবে তারা বলছে, তাদের থাকা খাওয়া এমন কি ঘুমানোর জায়গা পর্যন্ত থাকছেনা আগামী ১৫ তারিখের পর থেকে। তাই দিশেহারা ২৮টি পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তাদের পুনর্বাসনের আবেদন করেন এবং সবাই আত্মহত্যার হুমকি দেন।
বুধবার (৬ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় এই ২৮টি পরিবার উপজেলা পরিষদে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা মহীলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাবর এমন মানবিক আবেদন (দরখাস্থ) প্রদান করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নন্দীগ্রাম পৌরসভার ২নং ওযার্ডের ওমরপুর সড়কপাড়া নামক স্থানে বগুড়া নাটোর মহাসড়কের জায়গায় রাস্তার সাথেই টং ঘরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে এই ২৮টি পরিবার। কোন সময় রাস্তায় গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়েছে আপনজন, আবার কোন সময় গভীর রাতে ট্রাক উল্টে ঘুমন্ত পুরো পরিবারের বুকের উপর আছরে পরেছে। মৃত্যু আতংক নিয়ে তবুও তারা সেখানেই বসবাস করেছে শুধু ১শতক জায়গা না থাকার কারনে। এখন সেই আশ্রয় টুকুও কেরে নিচ্ছে সড়ক বিভাগ। রাস্তা প্রসস্থ করার জন্য এই সব পরিবার গুলোকে তাদের বসত বাড়ি সরিয়ে নিতে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা গরীব অসহায়, দিন আনি দিন খাই, আমাদের কারো ১শতক জায়গা পর্যন্ত নেই। এ বিষয়ে আমরা বার বার আবেদন জানিয়েছি, কিন্তু কেউ কোন প্রকার নজর দেয়নি। এখন আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে দিলে আমরা কোথায় যাব, তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ও পৌর চেয়ারম্যান বরাবর এই ১০ দিনের মধ্যে আমাদের পূনর্বাসনের জন্য আবেদন (দরখাস্থ) করেছি, এই আবেদন আমাদের জীবনের শেষ আবেদন, এর পরও যদি আমাদের কোন ব্যাবস্থা না করে তাহলে বাধ্য হয়ে এই ২৮টি পরিবারের সকল সদস্য বিছানা বালিশ নিয়ে মহাসড়কের রাস্তায় শুয়ে পরবো, সরকার হয় আমাদের ঘুমানোর জায়গা দিবে না হয় আমাদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কবরে চির তরে ঘুমিয়ে দিবে, এক কথায় আমরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন আখতার সহ চেয়ারম্যান মহোদয়দের সাথে কথা বললে সবাই জানান, উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।