নির্বাচনী প্রশিক্ষণের ভাতা নিয়ে অডিট আপত্তি রোধে প্রশিক্ষণ নীতিমালা প্রনয়ণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের ৭৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ‘কমিশনের সভায় প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও সভায় উপস্থাপন করতে বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে যেহেতু অডিট আপত্তি হয়েছে, তাই ইসি সচিবালয় থেকে একটি নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি, যাতে ভবিষ্যতে আর অডিট আপত্তি না আসে। কমিশনের বক্তব্য, প্রশিক্ষণের পদ ও ভাতার হার নির্ধারণের বিষয়ে কমিশনই ক্ষমতাপ্রাপ্ত, তারা অনুমোদন দিতে পারেন। কিন্তু অডিট বিভাগ মনে করছে, কোন খাতে ব্যয় হবে তা কমিশন নির্ধারণ করতে পারে, কিন্তু প্রশিক্ষণ ভাতার হার ও পদের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত পদ ও হার অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হলে আর আপত্তি আসবে না। প্রথমে ইসি এটা মনে করলেও অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলেছেন।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদের বাইরে নীতিমালায় বিশেষ বক্তা ও কোর্স উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পদ রাখার বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে খসড়া প্রশিক্ষণ নীতিমালা পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রশিক্ষণে কী কী পদ থাকবে ও কী হারে সম্মানি দেওয়া হবে, সে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে আবারও কমিশন বৈঠকে তোলা হবে।’
সচিব জানান, অডিট অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে যেসব নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা নেওয়া হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে আপত্তি দিয়েছে। এর জবাবও দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো তারা মেনে নিয়েছেন। আরও কিছু তথ্য চেয়েছে। জবাবে সন্তুষ্ট হলে তা তারা মেনে নেবেন।
নির্বাচন কমিশনারদের প্রাধিকার সংক্রান্ত আইনের খসড়ার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘খসড়া আইনটি সংশোধন সাপেক্ষে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, কমিশনারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা না থাকাই ভালো। যেহেতু বিচারপতিদের গাড়িতে জাতীয় পাতাকা থাকে না, তাই কমিশনারদের গাড়িতে তা না থাকাই ভালো।’
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘শুধু অভিযোগ দিলেই হবে না। পেছনের সব অভিযোগ নিয়ে কাজ করলে সামনে এগুবো কীভাবে। কেউ সন্তুষ্ট না হলে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।’