বগুড়ার নন্দীগ্রামে, কুমিড়া পুন্ডিত পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরন অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোরশেদুল বারীর নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে, সবাই বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতরা হলেন, ভাগবজর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মানিক মিয়া (৪০), বৃকুঞ্চি গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বেলাল হোসেন (৪৫), মাটিহাঁস গ্রামের সদের আলী খানের ছেলে মোঃ বাবু (৪২), সবার অবস্থা আশংকা জনক।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের কুমিড়া পুন্ডিত পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির সুপারিশ ক্রমে এডহক কমিটির অনুমোদন দেয় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আর কমিটির সভাপতি করা হয় মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মজনুর রহমান মজনুকে, কিন্তু উক্ত এডহক কমিটিকে মানতে নারাজ তার বড় ভাই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী। ২ই জানুয়ারী শনিবার বর্তমান কমিটির উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে বই বিতরন করা হবে এই সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে বর্তমান এডহক কমিটিকে অবৈধ দাবী করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা দেয়া সহ বিদ্যালয়ের মুল গেটে অবস্থান নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী সহ এডহক কমিটিকে বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা প্রদান করে।
বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী কে বিদ্যালয়ের মূল গেট সহ প্রধান শিক্ষকের রুমের তালা খুলে দিতে অনুরোধ জানায়, কিন্তু চেয়ারম্যান তাতে অশীকৃতি জানায় এবং পুলিশের সামনেই হুমকি দেয় যে পুলিশ সহ স্কুলের গেটের সামনে যেই আসবে তার হাত পা গুড়িয়ে দেয়া হবে।
পরে পুলিশ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে পরের দিন বই বিতরন করা হবে জানিয়ে ছাত্র শিক্ষক সহ সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বললে পুলিশ সবাইকে পরের দিন বই বিতরনের তারিখ জানিয়ে যার যার বাড়িতে যেতে বলে, এমন সময় হঠাৎ চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে আতর্কিত হামলা চালায়।
এ বিষয়ে এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমান বলেন, আজ ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরন করার কথা ছিল, কিন্তু আমার বড় ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান তার লোকজন সহ এসে শিক্ষক সহ আমার লোকজনের উপড় হামলা চালিয়েছে। বিষটি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোরশেদুল বারীর মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কুমিড়া পুন্ডিত পুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, কুমিড়া পুন্ডিত পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমান ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরন করবে এমন খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা মেরে কোন শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী এবং এডহক কমিটির কাউকে স্কুলে প্রবেশ করতে দিবেনা বলে স্কুলের প্রধান গেটে অবস্থান নেয় স্থানীয় চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী ও তার লোকজন, তার বক্তব্য বর্তমান এডহক কমিটি অবৈধ, এই কমিটির উপস্থিতিতে বই বিতরন করতে দিবে না, পুরো ঘটনায় মজনুর রহমান মজনুর সমর্থকরা শান্ত থাকলেও চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ছিল উশৃংখল, শেষ মেষ চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন এডহক কমিটির পক্ষের লোক জনের উপড় আতর্কিত হামলা করে ৩ জন কে গুরুতর আহত করে, আমরা তাৎক্ষনাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি এবং আহতদের উদ্বার করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া মেডিকেলে পাঠানো হয়, উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এটা মারামারি না কি হামলা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যেহুতু এক পক্ষের উপড় আরেক পক্ষের নিরব উপস্থিতিতে আক্রমন সেহুতু এটা হামলা।