শিরোনাম
প্রধান কোচ হওয়ার যোগ্য কেউ বাংলাদেশে নেই: তামিম বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশের একটিও খালাস পেলেন ফখরুল-খসরু-রিজভী চিনির আমদানি শুল্ক কমানো হলো ৫০ শতাংশ তিন অতিরিক্ত আইজিপি বাধ্যতামূলক অবসরে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু মুন্সীগঞ্জে ২০ ঘণ্টায় ৩ মরদেহ উদ্ধার শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে ‘মিল্টন’ এস আলমের দুই প্রতিষ্ঠানের বিআইএন লক এখনো উদ্ধার হয়নি পুলিশের ১৪৫৯ অস্ত্র টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর বায়ু, পানি ও শব্দদূষণ রোধে একসাথে কাজ করতে হবে : রিজওয়ানা হাসান এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী পদত্যাগ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষিণ সুদানের পথে নৌবাহিনীর ৬৭ সদস্য
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আরও দু’একদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৫৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০

রাজধানীতে দুপুরে রোদ। বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই বাড়ছে কুয়াশা, পুরো সকালে থাকছে সেই দাপট। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। সূর্যের দেখা তেমন মিলছে না। শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে বেড়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। এমন পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে শীতের এই দাপট দু’একদিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গত কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। অনেক এলাকায় শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হয়েছেন ঠান্ডাজনিত রোগে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষের জন্য তা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এই শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে ছিন্নমূল ও দিনমজুররা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করায় এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার এ শৈত্যপ্রবাহ আরও দুদিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রংপুর বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ফেনী, পাবনা, নওগাঁর বদলগাছি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা ও বরিশালে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে। তাপমাত্রা সামান্য বাড়ছে। তবে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও দুয়েকদিন। তারপর পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রোববার দেশের সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শনিবার রাজারহাটে ছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ে চারদিক। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা উত্তাপ মিলেছে। ফলে দিনে কিছুটা স্বস্তি মিললেও রাত কাটছে কষ্টে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন নদ-নদী মধ্যবর্তী দ্বীপচরের মানুষ। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬ নদ-নদী বেষ্টিত কুড়িগ্রাম জেলায় ৩৫০টির মতো দ্বীপচর এবং ৮ শতাধিক তীরবর্তী চরগ্রামে বসবাসকারী অতিদরিদ্র ৫ লক্ষাধিক মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন।

চলতি মৌসুমের এ শৈত্যপ্রবাহ শুক্রবার থেকে শুরু হয়। সেদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বড় এলাকা জুড়ে তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে আবহাওয়াবিদরা তাকে বলেন মৃদু শৈপ্রবাহ; থার্মোমিটারের পারদ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মাঝারি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ সময়টায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে মাঠে থাকা বোরো ধানের বীজতলা, আমন ধান, গম, সবজি, সরিষাসহ রবিশস্যে পরিচর্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান আবহাওয়ায় ব্লাস্ট রোগ দেখা দিতে পারে। এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে ট্রাইসাইক্লাজল/স্ট্রবিন গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ৬৭ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে শেষ বিকেলে ৫-৭ দিন অন্তর দুবার স্প্রে করতে হবে। ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে। বোরো ধানের বীজতলায় থ্রিপস পোকার আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত জমিতে নাইট্রোজেন জাতীয় সার ব্যবহার করতে হবে।

আলুতে বর্তমান আবহাওয়ায় লেট ব্লাইট রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় রোগ প্রতিরোধের জন্য ৭ দিন পর পর ম্যানকোজেব গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে গাছ ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। রোগাক্রান্ত হয়ে গেলে আক্রান্ত জমিতে রোগ নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত সেচ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ