চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু হচ্ছে । ভাঙনরোধে নদীতীরে প্রাথমিকভাবে বালিভর্তি জিও ব্যাগ এবং জিওটিউবের সমন্বয়ে কাজ করা হবে। পরবর্তীতে সিসি ব্লক ফেলে স্থায়ী বাদ নির্মাণ করা হবে ।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চাঁদপুর এবং শরীয়তপুর জেলার ফেরীঘাট এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরোজমিনে ভাঙনকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শনকালে এ কথা জানান।
এসময় তারা ট্রলারে চড়ে ফেরিঘাটের দুই পাশের চাঁদপুর ইব্রাহিমপুর ইদগাহ বাজার এবং শরিয়তপুরের নরসিংহপুর এলাকার নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শরিয়তপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্লা, চরসেনসান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল কাসেম গাজী।
এসএম আহসান হাবিব জানান, আমাদের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে শরিয়তপুর জেলা এবং ফেরীঘাট সংলগ্ন চাঁদপুর জেলার যে সমস্ত স্থানে নদী ভাঙন রয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যা অচিরেই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। এরপর এই তালিকা অনুযায়ী যে সকল স্থানে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সেখানকার কাজ শেষ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গনের কাজগুলো করতে সার্ভে করে ডিজাইন করতে বেশকিছু সময় লেগে যায়। তবে আমরা আশা করছি আগামী বর্ষার আগে, অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এর কাজ শুরু করতে পারব। এই কাজের ধরণ হবে জিও ব্যাগ এবং ইউটিউবেরর সমন্বয়ে। যাকে আমাদের ভাষায় বলা হয় ‘টেম্পোরারি প্রডাক্টিভ ওয়ার্ক’। যেহেতু চাঁদপুর কিংবা শরিয়তপুর নয়, ফেরীঘাটের এই এলাকাটি পুরো দেশের জন্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সেহেতু এটি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। অচিরেই এখানে স্থায়ী ব্লক দেওয়া হবে।
এদিকে শরিয়তপুর ফেরী ঘাটের পূর্বপাশে জেগে ওঠা একটি চরের জন্যে চাঁদপুরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের বিশাল একটি এলাকা ভাঙনের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। মেঘনার তীব্র স্রোত চরে বাঁধা খেয়ে ওই এলাকার নদীপাড়ে আঘাত করছে। যার ফলে সেখানকার বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশকিছু পরিবার ভিটেমাটি হীন হয়েছে। তাই অতিদ্রুত চরটি কেটে নেয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।