খুব বড় রান করতে পারেনি জেমকন খুলনা। তবে ফাইনাল বিবেচনায় মাহমুদুল্লাহদের করা ১৫৫ রানকে ছোট বলার উপায় ছিল না। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলায় সেই রান তাড়া করে ব্যাটিং-বোলিংয়ে শক্তিশালী দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম হেরেছে ৫ রানে।
খুলনার দেওয়া দেড়শ’ ছাড়ানো রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। কিন্তু দলের ২৬ রানে ব্যক্তিগত ১২ করে সৌম্য সরকার ফিরতেই চাপে পড়ে যায় তারা। এরপরই অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ফিরে যান ৭ রান করে।
মেরে খেলতে পছন্দ করা লিটন দাসের কাঁধে বাড়ে চাপ। সেই চাপ সামাল দিয়ে ২৩ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য সৈকত আলী থাকলেও সুযোগটা নিতে পারেননি লিটন। ৫১ রানে ৩ উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে এরপর আশা দেন শামসুর রহমান।
কিন্তু তিনিও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২১ বলে ২৩ রান করে পেসার মাহমুদুল হাসানের বলে সাজঘরে ফেরেন। তবে সৈকত আলী একদিতে ছিলেন অবিচল। ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার খেলেন ৪৫ বলে ৫৩ রানের ভালো ইনিংস। কিন্তু তার ধীর গতির ওই ইনিংস কাল হয়েছে চট্টগ্রামের। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিনিসার রোল প্লে করা মোসাদ্দেক হোসেনও করতে পারেননি বড় কিছু। শেষ ওভারে ফিরে যান ১৪ বলে ১৯ রান করে।