চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের বরদিয়া পোস্ট অফিসটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। দরজা জানাল বিহীন ভাঙ্গা ঘরটিতে ঝুকিপুর্ণ ভাবে কাজ করছেন পোস্ট মাস্টার ও পোস্টম্যান। ২শতাংশ সম্পত্তির উপর ব্রিটিশ আমল থেকে এ পোস্ট অফিসটির কার্যক্রম চলে আসছে। পোস্ট অফিসটি কাগজে কলমে ডিজিটাল নাম দেয়া থাকলেও কিন্তু ডিজিটালের কোন ছোঁয়া নেই এখানে।
জেলা সদরের মৈশাদী গ্রামের আজহার মাহমুদ নামে এক দুষ্কৃতিকারী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে হাত করে পোস্ট অফিসটি ডিজিটাল পোস্ট অফিস নামে আখ্যায়িত করে নিজেকে উদ্যোক্তা তৈরী করে একটি ই-সেন্টার খোলেন। এখানে ই সেন্টার নামে বরাদ্ধ আছে কিন্তু কাজে কর্মে কিছু নেই।
বর্তমানে দুষ্কৃতিকারী আজহার মাহমুদ জেলা সদরের ফয়সাল সুপার মার্কেটের ২য় তলায় আইটি কম্পিউটার নামে একটি প্রাইভেট টের্ণিং সেন্টার চালাচ্ছে। সেখানে তিনি সরকারি বরাদ্ধ দেওয়া ৩টি লেপটপ, ৩টি কি-বোর্ড, ৩টি মাউস, ৩টি মাল্টি ফ্লাগ, ৩টি পাওয়ারবোর্ড, ১টি মডেম, ১টি লেজার প্রিন্টার, ১টি কালার প্রিন্টার ও ১ টি স্কেনার ব্যবহার করছেন।
পোস্ট মাস্টার ওহিদ উল্লাহ বলেন, ই-সেন্টার ব্যবসা থেকে আমাকে ১০%হারে টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও তা আমি পাই না। আমাদের এখানে ই-সেন্টার চালানোর উপযুক্ত স্থান রয়েছে। এখানে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সাব রেজিষ্টার অফিস ও কয়েকটি মাদ্রাসা রয়েছে। প্রায় ২ বছর পূর্বে আমাদের পোস্ট অফিসের নামে বরাদ্ধ দেয়া ই-সেন্টার কি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজহার মাহমুদকে দেয়। যা তিনি চাঁদপুর ফয়সাল সুপার মার্কেটে প্রাইভেট ট্রের্ণিং সেন্টার চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে আজহার মাহমুদের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমাকে কেন জিজ্ঞেস করেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিভাবে আমাকে দিয়েছেন উনাদের কে জিজ্ঞেস করেন।
জেলা পোস্ট মাষ্টার আবু হেলাল বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।
জেলা ডাক পরির্দশক কাঞ্চন সাহা বলেন, সে অনিয়ম করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কোষাগারে টাকা জমা না দিলে সে বিষয়টিও আমি খতিয়ে দেখব।