উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ও টাকা বাড়ানোর ধারা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) ডাকুন। প্রকল্পের বাস্তবায়ন কেন দেরি হচ্ছে তার কারণ অনুসন্ধান করুন।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্পের বাস্তবায়নের বিলম্বের কারণ কী? ছোটখাটো কাজ করতে কেন এত সময় লাগছে? পিডি কে? এসময় পিডি উপস্থিত ছিলেন না। কৃষি সচিব নতুন হওয়ায় তিনিও কোনো উত্তর দিতে পারেননি। কৃষিমন্ত্রীও ছিলেন ছুটিতে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২ বছর মেয়াদ এবং ব্যয় ৬৮ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে কেন ১০৯ কোটি টাকা করা হয়েছে তার কারণ অনুসন্ধান করুন। পিডিদের ডাকুন।
এছাড়া ‘চরখোলা-তুষাখালী মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তককরণ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি একটি পুরনো সড়ক। এই প্রকল্পে কেন এত সময় লাগছে? এবার টাকা বাড়ানো, মেয়াদ বাড়ানোর ধারা বন্ধ করুন। বিরক্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করতে হবে।
ড. শামসুল আলম আরও জানান,‘পঞ্চবটি হতে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরিবর্তে রাখতে বলেছেন ‘দোতলা সড়ক নির্মাণ’। কেননা এটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শর্ত পূরণ করে না। এছাড়া এ প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা ধরা ছিল পরামর্শক খাতের ব্যয়। সেটি বাড়ানোর দাবি করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পরবর্তীতে আরও ১৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ২৫ কোটি টাকা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, সড়ক তৈরিতে গাছ নষ্ট করা যাবে না। সড়ক মানসম্মতভাবে তৈরি করতে হবে। যাতে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের সড়কের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। সে অনুযায়ী রাস্তা তৈরি করতে হবে। কেননা ওই এলাকায় এখন ভারী যানবাহন চলাচল অনেক বেড়ে যাবে।