পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হতে পারেন ওই থানা এলাকার সামাজিক নেতা। মানুষ তাকে ভালবাসবে, তার কথা শুনবে। তার ফোর্সকে ভালবাসবে, পুলিশকে ভালবাসবে। পুলিশের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হওয়ার সুযোগ আছে। ওসি হবেন তার এলাকার হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। বিট পুলিশের কর্মকর্তা হবেন ওই বিটের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।’
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা রেঞ্জ পুলিশের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও অন্যান্য পুলিশ ইউনিটের প্রায় আড়াই হাজার সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আইজিপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পুলিশ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এবার করোনাকালে জনসেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পুলিশ। মানুষ এর প্রতিদানও দিয়েছে। করোনাকালে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিভাগীয় হাসপাতালগুলো আধুনিক করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের জন্য আট বিভাগে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে যথাসম্ভব সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘কল্যাণ ও শৃঙ্খলা এক নয়। শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনোভাবেই আপোশ করা হবে না। এখন সময় এসেছে পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর। জনগণকে নির্মোহ সেবা দিতে হবে। বিনিময়ে তাদের শ্রদ্ধা পাবেন, ভালবাসা পাবেন।’
মতবিনিময় সভার শুরুতে অকাল প্রয়াত পুলিশের এআইজি সাঈদ তারিকুল হাসান এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি আনিসুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে আইজিপি বরিশালে জেলা পুলিশ সুপারের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন করেন। পরে তিনি জেলা পুলিশ লাইন্সের প্রধান ফটক ‘প্রত্যয়’ উদ্বোধন করেন।
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি