বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ফ্লোরা ব্যাংক’ নামে বিশেষায়িত সফটওয়্যারে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অসংখ্য এটিএমসহ এক হাজার ২৪টি শাখার ১ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২৫টি হিসাব পরিচালনা হচ্ছে, যা বাংলাদেশি কোনো ব্যাংকিং সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা হওয়া প্রথম ঘটনা। একই সময়ে টেমেনস টি২৪-এর সফটওয়্যারের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৫৮টি শাখাসহ সকল এটিএম মেশিনকে সংযুক্ত করে সেবা প্রদান করছে ফ্লোরা টেলিকম, যা বাংলাদেশে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যাংকের ব্রাঞ্চকে সংযুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুযায়ী সর্বনিম্ন সার্ভার কনফিগারেশনের আওতায় প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ হাজার ৮৭৮টি লেনদেনে সক্ষম ফ্লোরা ব্যাংক। এই সেবার ফলে একই সময়ে (রিয়েল টাইম) ১০ হাজার ৭৮৬ জন গ্রাহককে ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ২ কোটির বেশি হিসাব পরিচালনা করা ও ১ কোটি গ্রাহককে মোবাইল ফোন ভিত্তিক সেবা প্রদান করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে ফ্লোরা টেলিকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেখ জাওয়াহের আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প অনুসরণে দেশের আর্থিক খাতে তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে টেমেনস টি২৪ এর সাথে যাত্রা শুরু করে ফ্লোরা টেলিকম। এর আগে ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে ফ্লোরা ব্যাংক কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের প্রকল্প শুরু হয়। আমরা বাংলাদেশে স্থানীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার তৈরি এবং ফ্লোরা টেলিকমের তত্ত্বাবধায়নে টেমেনস টি২৪ কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার নিয়ে সবচেয়ে বড় ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছি।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিশ্বখ্যাত বড় ব্রান্ডের আইটি প্রডাক্ট যেমন এইচপি, ডেল, সিসকো ইত্যাদি ও সফটওয়্যার টেমেনস টি২৪, ফ্লোরাব্যাংক, মাইক্রোসফট, ওরাকল ইত্যাদি সরবরাহ, বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদান করে আসছে।
ফ্লোরা টেলিকমের সফল বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্রাষ্ট ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসিবিএল, এনবিআর, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ইত্যাদি।