শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রস্তাব করা হয়।
১। ভাস্কর্য যে উদ্দেশ্যে তৈরি হোক, তা ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই ভাস্কর্য তৈরি না করে ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাসের আলোকে কুরআন সুন্নাহ সমর্থিত বিকল্প পথ বের করতে হবে।
২। বিশ্বনবীর (সা.) অবমাননাকর আচরণের ওপর কঠোর নজরদারিসহ দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩। ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার আলেমদের মুক্তি দিতে হবে।
৪। ওয়াজ মাহফিলে মাইক ও লাউড স্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে।
৫। উসকানিমূলক ও অবমাননাকর মন্তব্য কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান।
বৈঠক শেষে বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সারা দেশের খ্যাতনামা আলেমরা এ বৈঠকে অংশ নেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে ৫টি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেগুলো স্মারকলিপি আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করা হবে।
বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন বাংলাদশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফজ্জেী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ( একাংশ) সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, আব্দুল হালীম বুখারী, মুফতি রুহুল আমীন, ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মাওলানা আব্দুল হামিদ (মধুপুর পীর), মাওলানা আব্দুল কুদুস, মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মুফতি আরশাদ রহমানী, মুফতি মুহাম্মাদ আলী, মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ প্রমুখ।