ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজনীতিতে শেখ ফজলুল হক মণির হাতেখড়ি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ছিলেন তিনি।’
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগর ভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডিএসসিসির মেয়র। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণির ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বাবা যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র, তখন বঙ্গবন্ধু আমার দাদিকে বলেন, মণিকে আমাকে দাও। দাদি বলেন, খোকা, তোমার পিছেই বাবা-মাসহ আমরা সবাই বিচলিত থাকি, দুঃশ্চিন্তায় থাকি। তুমি এখন মণিকে নিতে চাচ্ছ? তখন বঙ্গবন্ধু বলেন, আমার তো কেউ ছিল না। মণির জন্য তো আমি আছি। এই বলে বঙ্গবন্ধু বাবাকে তখন তার সান্নিধ্যে নিয়েছিলেন। সেই থেকে বাবার রাজনীতির শুরু। তার রাজনীতির হাতেখড়ি জাতির পিতার মাধ্যমেই হয়েছিল। এরপর তিনি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামকে বেগবান করার জন্য যে নির্দেশনা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, তার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি। তার মাধ্যমে ছাত্রলীগের তুখোড় নেতাদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করেছেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেখ ফজলুল হক মণি সরাসরি রণাঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। স্বাধীনতার পর সোনার বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই শেখ ফজলুল হক মণি যুবকদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
অনুষ্ঠানে শেখ ফজলুল হক মণির লেখা ‘গীতারায়’ ও ‘দূরবীনে দূরদর্শী’ শীর্ষক পুনঃপ্রকাশিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পক্ষে ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামালউদ্দিন কাবুল, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস রহমান বক্তব্য রাখেন।