অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে অনেকবারই গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম। কখনো তিনি লিগ আয়োজনের আশার আলো দেখিয়েছেন। কখনো লিগ আয়োজন করা সম্ভব না এমনটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
শনিবার মিরপুরে তিনি জানালেন, করোনা ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছে বিসিবি। ভ্যাকসিন পেলে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর পুনরায় শুরু করতে চায় আয়োজকরা।
বর্তমানে পাঁচ দলের ৮০ ক্রিকেটারকে নিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি হয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকা লিগ আয়োজন করা সম্ভব হবে না। কেন? সেই উত্তরটাও দিয়েছেন কাজী ইনাম, ‘বিসিবি দুইটি টুর্নামেন্ট করেছে। একটি প্রেসিডেন্টস কাপ ৩ দল নিয়ে। এখন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ৫ দল নিয়ে। দুটি টুর্নামেন্টেই খেলোয়াড়দের এক করে জৈব সুরক্ষা বলয়ে সোনারগাঁওয়ে রাখতে পারছি। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ১২টি, তাদের জন্য আমাদের অপশন কী হবে, সেটি নিয়ে আমরা ভাবছি।’
ঢাকার ক্লাবগুলো নিজেদের খরচে দল পরিচালনা করে। এখন লিগ আয়োজন করলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাদেও পাঁচ তারকা হোটেল খরচ ও দৈনিক ভাতা দেওয়া তাদের ওপর বাড়তি চাপ। বিশাল এ খরচ অনেক ক্লাবই তুলতে চায় না। এজন্য বিসিবির দ্বারস্থ তারা।
তবে আয়োজকরা অনেক আলোচনাও করেও আসতে পারছেন না সমাধানে। কাজী ইনাম বলেন,‘ঢাকার বাইরে লিগ আয়োজন করা যায় কি না সেটা নিয়েও আলোচনা করছি। আবার সরকার বলছে, দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সব খেলোয়াড়কে ভ্যাক্সিনেট করে ও তার সঙ্গে যারা সংযুক্ত, সবাইকে ভ্যাক্সিনেট করে খেলাটাকে পরিচালনা করতে পারি কিনা।’
আবার ডাবল লিগের পরিবর্তে সিঙ্গেল লিগ নিয়েও ভাবছেন তারা, ‘যদি একবছরে দুটি লিগ আয়োজনের দরকার হয় কিংবা আট মাসেও দরকার হয়, আমরা এর ব্যবধানে যদি দুইটা সিঙ্গেল লিগও করতে পারি কিনা, সেটি দেখবো। আমাদেরকে অবশ্যই প্লেয়ারদের সঙ্গে ক্লাবের বিষয়টিও দেখতে হবে। আপাতত আমাদের স্থগিত লিগটি চালু করে সেটি শেষ করাই মূল লক্ষ্য।’
করোনা ঝুঁকির মধ্যেই গত ১৫ মার্চ শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। প্রথম রাউন্ডের পরই করোনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয় ঢাকা লিগ।