জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমেই যে কোনো বয়সে ওজন কমানো সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে একটি গবেষণায়।
গবেষকরা বলছেন, জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে ৬০ বছর বয়সেও একজন স্থূলকায় ব্যক্তি ততটা ওজন কমাতে পারবেন যতটা একজন তরুণ স্থূলকায় ব্যক্তির পক্ষে কমানো সম্ভব।
‘ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি’ সাময়িকীতে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। বৃদ্ধ বয়সে ওজন কমানো সম্ভব হয় না, প্রচলিত এ ধারণা দূর করতে সহায়ক হবে এ গবেষণা।
গবেষণার প্রধান, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইকের অধ্যাপক থমাস বারবার বলেন, সব বয়সেই ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওজন বাড়ায় ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বেশিরভাগ ঝুঁকির নেপথ্যে আসলে বার্ধক্য। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে ওজনটা স্বাস্থ্যকর মাত্রায় ধরে রাখা জরুরি।
এই গবেষণায় ২৪২ ব্যক্তি অংশ নেন, যাদের প্রত্যেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ডব্লিউআইএসডিইএম’ভিত্তিক সেবা নিয়েছেন ২০০৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ষাটের নিচে-ওপরে যাদের বয়স, তাদের দুই দলে ভাগ করা হয় এবং ওই সেবা গ্রহণের মাধ্যমে তারা কতটুকু ওজন কমিয়েছেন তার তুলনা করা হয়।
‘ডব্লিউআইএসডিইএম’ভিত্তিক ওজন নিয়ন্ত্রণ সেবা গ্রহণের আগে ও পরে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর ওজন মাপা হয় এবং শতাংশ হিসাবে তারা কতটুকু ওজন ঝরিয়েছেন তার হিসাব রাখা হয়।
দুই দলের তথ্যের মধ্যে তুলনা করে দেখা যায়, যাদের বয়স ষাটের বেশি তারা ওজন কমিয়েছেন ৭.৩ শতাংশ। আর যাদের বয়স ষাটের কম, তাদের কমেছে ৬.৯ শতাংশ।
দুই দলই ‘ডব্লিউআইএসডিইএম’ সেবার আওতায় প্রায় একই পরিমাণ সময় পার করেছেন। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা ছিল ৩৩.৬ মাস। ষাটের নিচে যাদের বয়স তারা সময় কাটিয়েছেন ৪১.৫ মাস।
‘ডব্লিউআইএসডিইএম’ একটি হাসপাতালভিত্তিক ওজন নিয়ন্ত্রণ সেবা।