ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডব্লিউসিআিইটি) সম্মেলনে ‘উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পেয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্স্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’।
ডিজিটাল অপর্চুনিটি এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্স্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’-কে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অলিম্পিক খ্যাত এই অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা)।
মালয়েশিয়ায় গত বুধবার শুরু হয়েছে তিন দিনের ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডব্লিউসিআিইটি) সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় রাত আটটায় ‘নগদ’-কে এই অ্যাওয়ার্ডটি দেওয়া হয়।
ওয়ার্ল্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) প্রতি বছর এই সম্মেলনের আয়োজন করে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সংগঠন উইটসা’র সদস্য। অ্যাওয়ার্ডের জন্য এ বছর বাংলাদেশ থেকে বিসিএস ’নগদ’-এর নাম প্রস্তাব করে। প্রস্তাবে গ্রাহক নিবন্ধনের জন্য ‘নগদ’-এর ডিজিটাল কেওয়াইসি (নো ইয়োর কাস্টমার) চালু, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাকাউন্ট না থাকা নম্বরেও টাকা পাঠানোর সেবা, সেন্ড মানি টু এনি ফোন নম্বর (এসএমটিএটি) এবং কেবল একটি স্পর্শের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা বা ওয়ান ট্যাপ অ্যাকাউন্ট ওপেনিংয়ের মতো প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে উইটসা অ্যাওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। উইটসা’র কাছ থেকে ‘নগদ’ স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত মাসেই ‘নগদ’ বিশ্ব সেরা ফিনটেক স্টার্টআপ হিসেবে ‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।
উইটসা’র স্বীকৃতির বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, দেশের আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশনের জন্য ‘নগদ’ শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে উইটসা’র কাছ থেকে পাওয়া স্বীকৃতি অবশ্যই নতুন কিছু উদ্ভাবনে ‘নগদ’-কে আরও উৎসাহিত করবে। আমাদের কাছে স্বীকৃতি পাওয়াটা অবশ্যই সম্মানের। তবে মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারাটা আরও বড়।”
উইটস‘র কাছ থেকে ‘নগদ’-এর স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, উইটসা’র স্বীকৃতি প্রমাণ করে আমরা সঠিক পথেই রয়েছি। সেবা শুরু করার মাত্র দেড় বছরের মধ্যে ‘নগদ’ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়ছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি এক্ষেত্রে ‘নগদ’-এর বড় হাতিয়ার। মাত্র দেড় বছরের মধ্যে ‘নগদ’ আর্থিক খাতে প্রযুক্তির যে জাদু দেখিয়েছে, সেটি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। এর আগেও ‘নগদ’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে এবং বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছে। আশা করি ‘নগদ’ আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশন
নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব দেবে।”ডাক বিভাগের সহযোগিতায় ২০১৯ সালের মার্চে সেবা চালু করা ‘নগদ’ ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই কোটি গ্রাহক পেয়েছে যা দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ৩০ শতাংশ। প্রযুক্তি নির্ভর সেবার জন্যে শুরু থেকেই ‘নগদ’ গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাছাড়া সর্বনিম্ন খরচের সেবা প্রদান ও ‘নগদ’-এর প্রবৃদ্ধি ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
সূত্র: রাইজিংবিডি.কম