সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

আমরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ঘৃণা করি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৮১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনাই ছিল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করেছে। তাই মৌলবাদীদের শেকড় অনেক গভীরে। এক কথায় এদের মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয়।’

‘তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের মূলোৎপাটন করার জন্য জাতি কীভাবে ঐক্যবদ্ধ, সেটা নিশ্চয় আপনারা লক্ষ্য করেছেন।’

সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন, আইন হাতে তুলে না নেয়ার জন্য। তাই আমরা কোনো পর্যায়েই ওদের বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নিইনি। আমাদের চেতনা দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিতে উজ্জীবিত হয়েই রাজনৈতিকভাবে এই বিষফোঁড়া উপড়ে ফেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ আছি।’

রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে রাজাকারদের তালিকা করা ছিল আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না। ১৫ দিন আগে মন্ত্রিসভায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের সংশোধন করে রাজাকারদের তালিকা করার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।’

জাতীয় সংসদে আগামী অধিবেশনেই সংশোধিত ওই আইন পাস হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই তালিকা করার সময় যাতে কারও প্রতি আক্রোশের বশবর্তী না হই, আবার বাড়তি আনুকূল্য দেখানোর জন্য কাউকে যেন বাদ দেওয়া না হয়, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আমরা যেন তৃণমূল থেকে এ তালিকা করতে পারি, আইন পাস করার পরে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয় আপনারা জানেন, সরকারপ্রধান নীতি নির্ধারণ করেন। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা যায় না, কেউ যদি বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা বলতে পারেন।তবে আইন হোক বা না হোক, আমরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে ঘৃণা করি, প্রত্যাখান করি ও এর বিরোধিতা করি।’

  • তথ্যসূত্র: যুগান্তর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ