নতুন শিক্ষাক্রমে আগামী ২০২৬ সাল থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি আজ সেগুনবাগিচায় আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনিস্টিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আয়োজনে স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলমান নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে লাগবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। আগামী ২০২৬ সালে এ শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে।তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট শিক্ষার মধ্য দিয়েই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি হবে। আর স্মার্ট শিক্ষার বড় উপাদান হলো নতুন শিক্ষাক্রম। অনেক পরিশ্রম করে আমরা সকলে মিলে একটা ভালো শিক্ষাক্রম তৈরি করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে স্মার্ট শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিক্ষা একটি সুদূর প্রসারী অভিযাত্রা, গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আমরা একটি লক্ষ্য পূরণের অভিযাত্রায় মিলিত হয়েছি। নতুন শিক্ষাক্রম ব্যক্তিপর্যায়ে শিক্ষার্থীর বিকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সকল পর্যায়ের রূপরেখা নিয়ে যে অভিযাত্রা সেখানে শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষকও হয়ে উঠবেন সহ শিক্ষার্থী। জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ যেকোনো পরিস্থিতিতেই এদেশকে, এদেশের মানুষকে ভালবাসতে শেখাবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর উন্নয়ন দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমরা কতটা সমৃদ্ধ হবে, তা নির্ভর করবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জীবন-জীবিকার গতানুগতিক ধারণাকে পাল্টে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীকে যদি অভিযানে সক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে সেই স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত।
উল্লেখ্য, ২০টি ছোট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১০টি সেমিনার সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। যার মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় স্মার্ট শিক্ষা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাউশি’র পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী প্রমুখ।