শিরোনাম
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানি বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনাধীন প্রতীক বরাদ্দের আগেই ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো যাবে: ইসি লিটারে সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, কমলো খোলায় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে: দীপু মনি বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোনালদোর পাওনা ১১৪ কোটি টাকা দিতে জুভেন্টাসকে নির্দেশ আদালতে হাজির হতে পরীমণিকে সমন জারি স্বাস্থ্যসেবায় দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে : রাষ্ট্রপতি সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে ৯-১৪ এপ্রিল আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান সৌদি আরবের আজ পবিত্র শবে কদর চাঁদপুরে ৯০ কেজি জাটকা সহ গ্রেফতার ১
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

মতলবে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি, ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে রোগীরা

সুমন আহম্মেদ / ৭০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২

সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হঠাৎ বেড়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রায় এক সপ্তাহে চোখ ওঠার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর নারী-পুরুষ ও শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিনিয়তই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে, ফলে প্রয়োজনীয় ঔষধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফার্মেসীতে ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে চোখ ওঠা রোগীরা।
বুধবার(১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই কমবেশি চোখ ওঠা রোগ হানা দিয়েছে। মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র, বেসরকারি ক্লিনিক ও ঔষধের দোকানদারদের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা পালাক্রমে ভিড় জমাচ্ছেন। পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ব্যথা অনুভব করা, রোদ্রে চরম অস্বস্তিলাগা লক্ষণ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। সব বয়সের মানুষ এ ছোঁয়াচে ভাইরাল ইনফেকশন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ রোগে আক্রান্ত ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ  পড়ুয়া ছাত্রী জুলিয়া আক্তার জানান, প্রথমে আমার মেয়ে ও পরে আমি আক্রান্ত হই। একদিন পরে আমার পরিবারের আরো একজন আক্রান্ত হয়। দু’চোখ হঠাৎ করে লাল হয়ে যায় এবং চোখ ফুটতে (খচখচ) ও ব্যাথা শুরু হয়। নতুন বাজারে হোমিও চেম্বার থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন ৯০% সুস্থ্য।
৭০ বছরের বৃদ্ধ মো.সিরাজ বেপারী বলেন-আমার চোখ ওঠার পর দু’বেলা জার-ফুক নিয়েছি এবং পাশাপাশি চোখে ড্রপ দিয়েছি আমি এখন সুস্থ।
এদিকে চোখ ওঠা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চোখ ওঠা রোগীরা।
মকবুল হোমিও চিকিৎসা কেন্দের ডা.মকবুল খান
বলেন, গত চার’দিনে চোখে ভাইরাস আক্রান্ত ৪০ এর অধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ভাবে থাকতে হবে। তার ব্যবহৃত তোয়ালে, গামছা, রুমালসহ অন্য সবকিছু আলাদা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন চোখ ওঠা এই রোগ থেকে বাঁচতে নিজেদের সচেতন হতে হবে। চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে। চোখে নিয়মিত ড্রপ দিতে হবে ও মুখে লক্ষ্মণ অনুযায়ী মেডিসিন খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও হাসিবুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই কমবেশি চোখ ওঠা রোগী আসে। হাসপাতালের কমিউনিটি ভিষন সেন্টারের মাধ্যমে চোখের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করলে দ্রুত আরোগ্য সম্ভব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, নিয়মিত অধিক হারে চোখ ওঠা রোগী হাসপাতালে আসছে তাদেরকে চিকিৎসা সহ মেডিসিন দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে অধিক রোগী আসায় ঔষধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন এখানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক নেই, মেডিকেল অফিসারগণ ও প্রশিক্ষিণপ্রাপ্ত নার্সগণ চোখের চিকিৎসা দিচ্ছেন। চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস একটি ভাইরালজনিত রোগ, একজনের থেকে আর একজনের ছড়ায়। ২/১ দিন বাসায় থেকে ব্যাথা নাশক ও এন্টিহিস্টামিন ঔষধ খাবে এবং কাল চশমা ব্যবহার করবে, পর্যাক্ত পানি খাবে, রোদের আলোতে কম যাবে তাহলেই এই চোখ ওঠা থেকে আরোগ্য সম্ভব।
উল্লেখ্য, চোখ উঠা (Conjunctivitis, কন্‌জাঙ্কটিভাইটিস) হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। সাধারণভাবে প্রচলিত কথা ‘চোখ ওঠা’ বলতে চোখ লাল হওয়া বুঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র।এই ধরণের ইনফেকশন প্রথমত এক চোখে হয় পরবর্তী দুচোখেই দেখা দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ