রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ৬০৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ১২ দিনে বিভাগে করোনায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার ৭, দিনাজপুরের ৩ জন, রংপুরের ২ জন, নীলফামারী ও গাইবান্ধার ১ জন করে রয়েছেন।
একই সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৯০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ১৩৮ জন, রংপুরের ৯৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৯৪ জন, নীলফামারীর ৮১ জন, কুড়িগ্রামের ৬১ জন, পঞ্চগড়ের ৬১ জন, গাইবান্ধার ৫৫ জন ও লালমনিরহাটের ১৭ জন রয়েছেন। বিভাগে করোনা শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ১৪ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮৫ জন। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২৩২ জন, রংপুরের ১৩৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১২৭ জন, নীলফামারীর ৪৬ জন, লালমনিরহাটের ৪৩ জন, কুড়িগ্রামের ৩৫ জন, পঞ্চগড়ের ৩৩ জন ও গাইবান্ধার ৩৩ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮৭ জন।
এছাড়াও নতুন শনাক্ত ৬০৫ জনসহ বিভাগে ৩৩ হাজার ৯৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ১০ হাজার ৪৯৪ জন, রংপুরের ৭ হাজার ৪১৭ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ হাজার ৭৭৪ জন, গাইবান্ধার ২ হাজার ৭৮০ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৫১৩ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৪০১ জন, লালমনিরহাটের ১ হাজার ৮৭২ জন এবং পঞ্চগড়ের ১ হাজার ৬৮৩ জন রয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সোমবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।