উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দিলীপ কুমারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বুধবার সকালে ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৮ বছর।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতের এই অভিনেতা মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৮ বছর।
সিনেমা জগতে তিনি দিলীপ কুমার নামে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম মুহাম্মদ ইউসুফ খান।
এনডিটিভি জানায়, মুম্বাইয়েরে পিডি হিন্দুজা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন দিলীপ। গত ৩০ জুন তাকে মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
এর আগেও গত ৬ জুন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল দিলীপকে। ফুসফুসে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তবে সফল প্লিউরাল অ্যাসপিরেশন প্রক্রিয়ায় তার সেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। ৫ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে যান দিলীপ।
ছয় দশকের অভিনয় জীবন দিলীপের। ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ারভাটা’ সিনেমা দিয়ে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন।
বলিউডে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘ট্র্যাজেডি কিং’ নামে। ৬৫টিরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত আইকনিক ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবদাস (১৯৫৫), নয়া দওর (১৯৫৭), মুঘল-এ-আজম (১৯৬০), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১), ক্রান্তি (১৯৮১) এবং কর্মা (১৯৮৬)।
কর্মা’র মতো ছবি বলিউডের ইতিহাসে চিরকাল মনে রাখবেন সিনে প্রেমী দর্শক। ১৯৯৮ সালে এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিলা’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল দিলীপের অভিনয়।
১৯৯৪-এ দাদা সাহেব ফালকে এবং ২০১৫-এ পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।