বইটি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশকে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ৫০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ দশকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের শক্তিশালী স্থায়ী অংশীদারত্বে ইউএসএআইডি যে অবদান রেখেছে, বইটি তার অপূর্ব এক প্রতিচ্ছবি।
বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা এরই মধ্যে জেনেছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পেতে যাচ্ছে। এটি টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত করোনাভাইরাসের আট কোটি ডোজ টিকার অংশ। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে কোভ্যাক্সে প্রতিশ্রুত ৪০০ কোটি ডলারের মধ্যে ২০০ কোটি ডলার দিয়েছে। কোভ্যাক্সে এককভাবে এটি কোনো দেশের সর্বোচ্চ সহযোগিতা।’
করোনা মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘করোনা আমাদের শিখিয়েছে, সুরক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সংকটে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। কারণ, এসব কোনো সীমা মানে না। তাই করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের এসব উদ্যোগ সংকট মোকাবিলার দৃষ্টান্ত।’
ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের সফলতার গল্প, যা জীবন পরিবর্তনকারী ও জীবন রক্ষাকারী সাফল্য অর্জন করেছে, এটি শুধু আমার কথা নয়। আমি আশা করি, ইউএসএআইডি প্রকাশিত এই বই বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত; সেটা আলোকচিত্রের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে পেরেছে।’