চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৮৩নং করইশ মৌজার ২৭নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ১০৫১ দাগে (হাল দাগ ৩৭৬৭) ২৩ শতাংশ পৈত্রিক চাষী ভূমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত না করার দাবীতে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভূগী ও এলাকাবাসী।
গতকাল সোমবার বিকালে দাবীকৃত জমির পাশের রাস্তার উপর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভুগী আমেনা খাতুন। বক্তব্যে তিনি দাবী করেন- উক্ত ২৩ শতাংশ ভূমি সিএস মূলে মূল মালিক ছিলো করইশ গ্রামের ইউসুফ আলী। তিনি তিন পুত্র সায়েদ আলী, ওয়াহেদ আলী ও আকমত আলীকে রেখে মৃত্যু বরণ করেন। পৈত্রিক সূত্রে ইউসুফ আলীর উক্ত তিন পুত্র এ সম্পত্তির মালিকদার হয়ে ২৩ শতাংশ ভূমি আমার পিতা আব্দুল হাকিমের নিকট বিক্রি করেন। আব্দুল হাকিম স্ত্রী, জুলেখা খাতুন দুই মেয়ে আমেনা খাতুন ও হালিমা খাতুন কে রেখে মারা যান। আমারা উত্তরাধিকার সূত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিকদার হয়ে সম্পত্তিতে চাষাবাদ করে ফসলাদি উৎপন্ন করে ভোগদখল করে আসছি।
১৯৯২-৯৩ সালে বিএস খতিয়ানভুক্ত করা কালীন ভূলবশতঃ এ সম্পত্তি একের এক (খাস খতিয়ান) ভুক্ত হয়ে যায়। সম্প্রতি আমাদের দখলে থাকা সাবেক ১০৫১ হালে ৩৭৬৭ দাগের জমি কাগজপত্র নিয়া হাজির হওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কচুয়া, চাঁদপুর নির্দেশ প্রদান করেন। আমরা কাগজপত্র খোঁজা খুজি করে আসতেছি। এমতাবস্থায় আমাদের দখলীয় সাবেক ১০৫১ হালে ৩৭৬৭ দাগের আকার পরিবর্তন করার জন্য কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরে জমিনে উক্ত জমি দেখতে গিয়ে তাঁরা আমাদের জমিতে রোপনকৃত আউস ধান ক্ষেত দেখতে পান। আমাদের পক্ষ থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য সময়ের আবেদন করেছি। কিন্তু তাঁরা আবেদন বিবেচনা না করে জমি আকার পরিবর্তন করার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশদানের প্রেক্ষিতে ফসলি জমি বেকু দ্বারা মাটি কাঁটা হচ্ছে।
এ অবস্থায় জমির আকার পরিবর্তন না করে আমাদেরকে কাগজপত্র সংগ্রহ করার সময় দানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। তিনি আরো জানান যে, উক্ত বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আমেনা খাতুনের ছোট বোন হালিমা খাতুন, তাদের সন্তানাদি ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে ভুক্তভুগীরা ছাড়াও এলাকার যথেষ্ট সংখ্যক পুরুষ মহিলা অংশ গ্রহণ করেন।