পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের উপহারের ৬ লাখ ডোজ টিকা আনতে দুটি সি-১৩০ প্লেন পাঠানো হচ্ছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট দিচ্ছে। টিকা নেওয়ার পর প্লেনে যত জায়গা থাকবে, সেটি পুরোটা ভরে নিয়ে আসবে।
চীন গত ১২ মে সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ উপহারের টিকা বাংলাদেশে পাঠায়। তার ৯ দিনের মাথায় চীন দ্বিতীয় দফায় টিকা উপহারের ঘোষণা দেয়।
গত ২১ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর ফোনালাপ হয়। এ ফোনালাপের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে আরও ছয় লাখ টিকা উপহার দেওয়ার কথা জানান।
পরে ঢাকায় চীনের দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণের ওপর চীনের নজর রয়েছে। বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে টিকার বিপুল চাহিদার প্রেক্ষাপটে সরবরাহের ঘাটতির বিষয়ে চীন উদ্বিগ্ন। ফলে দ্বিতীয় দফায় টিকা উপহারের ঘোষণা বাংলাদেশের প্রতি চীনের বন্ধুত্বের নিদর্শন।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে চীনের করোনাভাইরাসের টিকার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।