শিরোনাম
প্রধান কোচ হওয়ার যোগ্য কেউ বাংলাদেশে নেই: তামিম বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশের একটিও খালাস পেলেন ফখরুল-খসরু-রিজভী চিনির আমদানি শুল্ক কমানো হলো ৫০ শতাংশ তিন অতিরিক্ত আইজিপি বাধ্যতামূলক অবসরে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু মুন্সীগঞ্জে ২০ ঘণ্টায় ৩ মরদেহ উদ্ধার শপথ নিলেন ২৩ বিচারপতি ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে ‘মিল্টন’ এস আলমের দুই প্রতিষ্ঠানের বিআইএন লক এখনো উদ্ধার হয়নি পুলিশের ১৪৫৯ অস্ত্র টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর বায়ু, পানি ও শব্দদূষণ রোধে একসাথে কাজ করতে হবে : রিজওয়ানা হাসান এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী পদত্যাগ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষিণ সুদানের পথে নৌবাহিনীর ৬৭ সদস্য
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন

ছাত্রদলের দুই পক্ষের চেয়ার ছোড়াছুড়ি

নিউজ ডেস্ক / ২৩৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২ জুন, ২০২১

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়েছে ছাত্রদল। বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।

এতে কেউ হতাহত না হলেও ২০ থেকে ৩০টি চেয়ার ভেঙে গেছে বলে প্রেসক্লাবের কর্মীরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, সভাকালে সামনে বসা নেতা-কর্মীরা প্রায়ই স্লোগান দিতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এতে পেছনে বসা নেতা-কর্মীদের অসুবিধা হওয়ায় সামনের কর্মীদের বসতে বলা হয়। এ নিয়ে তর্কের জেরে কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিজানুর রহমানের অনুসারীরা একে অপরের ওপর চড়াও হন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবাদের সময় একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এতে মিলনায়তনে বসা অন্য নেতা–কর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনবার দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ নেতারা অনুসারীদের নিয়ে মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় প্রেসক্লাবের বাইরে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় ছিল।

প্রেসক্লাবের দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের চড়াওয়ের ঘটনায় ওই মিলনায়তনে ২০ থেকে ৩০টি চেয়ার ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় বাইরে বের হতে গিয়ে একদল নেতা-কর্মী মিলনায়তনের একটি দরজাও খুলে ফেলেন।
কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে আমার কোনো অনুসারী ছিল না। আমি কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম। ছাত্রদলে এখন কোনো গ্রুপিং নেই।’
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভরসা করে আমরা বসে আছি। আপনাদের শৃঙ্খলা না থাকলে খালেদা জিয়াকে কে মুক্ত করবে? তারেক জিয়াকে কে ফেরত আনবে? সংকটের এই সময়ে সবচেয়ে যে সাহসী ভূমিকা রাখবে, সে–ই আমাদের নেতা।’

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের কৃষি উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, জনশক্তি রপ্তানি, নারী ও শিশু উন্নয়ন—সবই জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অবদান। সরকার যেখানে ব্যর্থ, বিএনপি সেখানে সফল। যাঁরা ক্ষমতায়, তাঁরা এগুলো স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করেন। জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নিতে চান। কিন্তু এই খেতাব নেওয়ার আওয়ামী লীগ কে? বিএনপি বারবার গণতন্ত্র উদ্ধার করেছে। সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান (খোকন) বলেন, ‘ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী হিসেবে আমাদের যেখানে শৃঙ্খলা রক্ষা করার কথা ছিল; তা আমরা করতে পারি না। এ জন্য আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা অঙ্গীকার করছি, সরকারের পতন ঘটিয়ে তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত আনব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ